আরসিবি’র জয়ের উৎসবে পদদলিত হওয়ার ঘটনায় বিসিসিআই সচিব ও ফ্র্যাঞ্চাইজির গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) ঐতিহাসিক আইপিএল জয়ের উদযাপনের পরিবেশ হঠাৎ করেই শোকের আবহে পরিণত হয়েছিল, যখন বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে প্রবল ভিড়ের কারণে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ১৮ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতার পর শহরে আনন্দের বন্যা বইছিল, কিন্তু ভিড় সামলাতে প্রশাসন ব্যর্থ হওয়ায় অনেক মানুষ পদদলিত হওয়ার শিকার হয়েছিলেন।
এই পুরো ঘটনায় তৎকালীন বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং প্রস্তুতির অভাবকে দায়ী করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। জনপ্রিয়তার সাথে দায়িত্বও আসে। আয়োজকদের আগে থেকে আরও ভালো পরিকল্পনা করা উচিত ছিল। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।
আহমেদাবাদের দৃষ্টান্ত সাইকিয়া ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, এই স্তরের উদযাপনের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ও সুদৃঢ় ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন ছিল। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেছিলেন যে, গত বছর কলকাতায় কেকেআর-এর জয়ের পর বা মুম্বাইয়ে টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের উদযাপনের সময় এমন কিছু ঘটেনি। সেখানে পুলিশ ও প্রশাসন মিলে পরিস্থিতি সামলেছিল। তিনি আরও যোগ করেছিলেন যে, আহমেদাবাদে আইপিএল ফাইনালের সময় ১,২০,০০০ দর্শক উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি, কারণ বিসিসিআই স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সাথে মিলে সুদৃঢ় ব্যবস্থা নিয়েছিল।
আরসিবি’র পক্ষ থেকে বিবৃতি অন্যদিকে, আরসিবি টিম ম্যানেজমেন্টও এই দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছিল। দলের মুখপাত্র বলেছিলেন যে, ভক্তদের অনুভূতি বোঝা উচিত। আমরা যথাসম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করেছিলাম এবং সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি, তবুও ১৮ বছরের এই জয়ের উদযাপন মানুষের আবেগের কারণে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছিল। আমাদের তাদের ধৈর্য ও আবেগের প্রতি সহানুভূতি রাখতে হবে। আরসিবি মুখপাত্র বলেছিলেন যে, যা আমাদের হাতে আছে, আমরা তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। সরকার প্রতিটি স্তরে সহযোগিতা করছে, কিন্তু এটি ছিল মানুষের আবেগ। জয়ের উদযাপনে একে অপরের খেয়াল রাখার বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমাদের মানুষের আবেগ বুঝতে হবে। তারা সংযমের সাথে এই জয়ের জন্য ১৮ বছর অপেক্ষা করেছেন। এই দুর্বলতা এবং অনুভূতির জন্য আমাদের তাদের প্রতি সহানুভূতি রাখা উচিত।