এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান আসাদুদ্দিন ওবৈসি এবং শশী থারুর সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা অপারেশন সিন্ধুর বিষয়ে রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে বিদেশে ভারতের পক্ষকে শক্তিশালীভাবে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই লড়াইকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মসমর্পণ’ বলে অভিহিত করেছেন।

ওবৈসি মঙ্গলবারই ভারতে ফিরেছেন এবং দেশে ফিরেই তিনি রাহুল গান্ধীর মন্তব্য থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। ওবৈসি বলেছেন যে, রাহুলকে কীভাবে বোঝাতে হবে, তার মন্তব্যে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে, তা কংগ্রেসের নেতারাই ভাবুন। যেখানে তার প্রশ্ন, তিনি ২১শে জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে पहलগাঁও হামলা এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন তুলবেন।

রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে কী বলেছিলেন?

রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন এবং বলেছিলেন, “ওদিক থেকে ট্রাম্প ফোন করে ইঙ্গিত করেছিলেন যে মোদিজি কী করছেন? নরেন্দ্র, আত্মসমর্পণ করুন। এবং ‘জি হুজুর’ বলে মোদিজি ট্রাম্পের ইঙ্গিত মেনে নিয়েছিলেন।”

রাহুল গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে পাকিস্তানে আলোচনা

যেহেতু রাহুল গান্ধীর মন্তব্য পাকিস্তানের আখ্যানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, তাই পাকিস্তানের প্রতিটি সংবাদ চ্যানেল রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে শিরোনাম করেছে এবং এটি নিয়ে বিতর্ক করেছে। পাকিস্তানের বেশিরভাগ টিভি চ্যানেল রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের অজুহাতে ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিশানা করছে|

‘ইন্ডি’ জোটের নেতারাও রাহুল গান্ধীর মন্তব্য থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলেন

রাহুলের ভাষাকে এখন ‘ইন্ডি’ জোটের নেতারাও সমর্থন করছেন না। আরজেডি (RJD) সাংসদ মনোজ ঝা বলেছেন যে, রাজনীতিতে শব্দগুলি ভেবেচিন্তে বেছে নেওয়া উচিত। ভাষার মর্যাদা বজায় রাখা উচিত। মনোজ ঝা বলেছেন যে, বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত বিরোধী দল একসাথে লড়ছে, কিন্তু এটা দলীয় রাজনীতির সময় নয়। তাই ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত।

উল্লেখ্য, রাহুলের মন্তব্য এমন সময়ে এসেছিল যখন সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল বিদেশে ভারতের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিল। এই প্রতিনিধি দলগুলিতে কংগ্রেসের অনেক সাংসদও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। শশী থারুর এবং আসাদুদ্দিন ওবৈসির মতো নেতারা রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে বিদেশে ভারতের পক্ষকে শক্তিশালীভাবে তুলে ধরেছিলেন।