কার্ল মার্কস কেন বিশ্বজুড়ে ক্ষমতাকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন? জন্ম থেকে বিতর্ক পর্যন্ত তার সম্পূর্ণ গল্প!

কার্ল মার্কস – একটি নাম যা হাজার হাজার বই, লক্ষ লক্ষ বক্তৃতা এবং কোটি কোটি সংগ্রামের কারণ হয়েছিল। মজুরের কপালের ঘাম থেকে শুরু করে পুঁজিপতির রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার পেছনেও ছিল এই মানুষটির চিন্তা। এক এমন দার্শনিক, যাকে কিছু মানুষ যুগপুরুষ মনে করেন, আবার কিছু মানুষ ইতিহাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিপ্লবের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে দেখেন। তিনি বিশ্বকে শিখিয়েছিলেন যে, মানুষ শুধু ধর্ম বা রাজার জন্য নয়, বরং রুটি, শ্রম এবং সমতার জন্যও লড়াই করে। আসুন, জেনে নিই সেই বিপ্লবী চিন্তাবিদ কার্ল মার্কসের গল্প, যিনি ‘মার্কসবাদ’ এবং ‘সাম্যবাদ’-এর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
কার্ল হেইনরিখ মার্কসের জন্ম ১৮১৮ সালের ৫ মে জার্মানির ট্রায়ার শহরে। নয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে বড়। তার বাবা, হেনরিক মার্কস, একজন সুপরিচিত আইনজীবী ছিলেন। শৈশব থেকেই কার্ল বৈষম্য, দারিদ্র্য এবং আসামতাকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন, যা ধীরে ধীরে তার মধ্যে একটি বিপ্লবী চিন্তার জন্ম দিয়েছিল। ১৮৩৫ সালে, মাত্র ১৭ বছর বয়সে কার্ল মার্কস বন ইউনিভার্সিটিতে আইন, সাহিত্য এবং দর্শন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। এরপর তিনি বার্লিন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন, যেখানে তার হেগেলীয় দর্শনের সাথে পরিচয় হয়। ব্রুনো বাউয়ার এবং লুডভিগ ফায়ারবাখের মতো প্রগতিশীল চিন্তাবিদদের সংস্পর্শে এসে তার চিন্তাধারায় এক বিপ্লবী পরিবর্তন আসে। তিনি ধর্মকে ‘জনতার আফিম’ বলে অভিহিত করেন এবং মনে করতেন যে ধর্ম মানুষের দুঃখ-কষ্ট থেকে মনোযোগ সরানোর একটি মাধ্যম। তার এই ধারণা তার বিপ্লবী মতবাদকে আরও শক্তিশালী করে তোলে, যা বিশ্বের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।