সমুদ্র থেকে উদ্ধার হলো ভগবান শ্রী রামের ধনুক? ভিডিও ভাইরাল

সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া আবারও অলৌকিকতার ঝলকে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। এবার সমুদ্র থেকে উদ্ধার হওয়া এক বিশাল সোনার ধনুককে ঘিরে ইন্টারনেটে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ছবি এবং ভিডিওগুলি এতটাই জীবন্ত ও প্রভাবশালী যে মানুষ চোখ বড় বড় করে দেখছে এবং হাতজোড় করে প্রণাম করছে।
দাবি করা হচ্ছে যে এটি কোনো সাধারণ ধনুক নয়, বরং ভগবান শ্রী রামের দিব্য ধনুক যা বহু বছর পর সমুদ্রের গভীরতা থেকে বেরিয়ে এসেছে।
ভিডিওতে একটি শান্ত, নীল সমুদ্র দেখা যায় এবং তার ভেতর থেকে অর্ধেক বেরিয়ে থাকা একটি ঝলমলে সোনার ধনুক, যা অস্তগামী সূর্যের আলোতে আরও অলৌকিক মনে হয়। কিন্তু এবার এর সত্যতা সামনে এসেছে, যা জেনে সবাই চমকে উঠেছে।
শ্রী রামের ধনুকের আসল সত্যতা সামনে এলো
ভিডিওটির জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে ফ্যাক্ট চেকারদের দল সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং ধীরে ধীরে আসল সত্য উন্মোচিত হতে থাকে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেশ কয়েকটি নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট এবং ফ্যাক্ট চেকিং প্ল্যাটফর্ম এই ভাইরাল ক্লিপ এবং ছবির সত্যতা প্রকাশ করে। বিশেষজ্ঞরা স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণভাবে এআই জেনারেটেড (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা তৈরি)। অর্থাৎ, এটি কোনো আসল সমুদ্রের দৃশ্য নয় এবং এটি কোনো বাস্তব ধনুকও নয়। অ্যাডভান্সড টেকনোলজি যেমন Midjourney, Runway বা DALL·E-এর মতো টুলসের সাহায্যে এই ধরনের দৃশ্য তৈরি করা যেতে পারে, যা বাস্তবতার চেয়েও বেশি বাস্তব মনে হয়।
এই কারণে সত্যতা সামনে এলো
ভিডিওটি ভালোভাবে পরীক্ষা করলে তাতে বেশ কিছু ভিজ্যুয়াল ত্রুটি দেখা যায়, যেমন জলের ঢেউ অস্বাভাবিক দিকে প্রবাহিত হওয়া, আলোর অনুপযুক্ততা এবং ধনুকের ঝলকানির বারবার পরিবর্তন। এই সমস্ত লক্ষণ স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, এটি মানব কল্পনার একটি ডিজিটাল অলৌকিকতা। এখন ব্যবহারকারীরাও এটি নিয়ে নানা রকম প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন।
ব্যবহারকারীরা ভর্ৎসনা করেছেন
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি ‘শচীন জয়সওয়াল’ ১ জুন ২০২৫ তারিখে শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘রামাयण কালের প্রমাণ সমুদ্র থেকে পাওয়া শ্রী রামের ধনুক।’ কিন্তু এখন সত্যতা সামনে আসার পর ব্যবহারকারীরা নানা রকম প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন… ‘ভাই কেন মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলছেন?’ আরেকজন ব্যবহারকারী লিখেছেন… ‘অন্ধভক্তির সীমা আছে।’ আবার একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন… ‘ফ্যাক্ট চেকাররা বসে আছে ভাই, তুই বোকা বানাতে পারবি না।’