মহাকাব্য মহাভারতে (Mahabharata) এমন অনেক চরিত্র রয়েছে যাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এমনই একজন চরিত্র হলেন মহাত্মা বিদুর। মহাত্মা বিদুরকে আজও তার বুদ্ধি ও জ্ঞানের জন্য স্মরণ করা হয়।

তিনি ধর্ম, নীতি এবং রাজনীতির মহান জ্ঞানী ছিলেন। মহাত্মা বিদুরের নীতিগুলি বিদুর নীতি নামে পরিচিত। বিদুর নীতিতে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন সঠিকভাবে যাপনের জন্য অনেক ধারণা পাওয়া যায়। ব্যক্তির মধ্যে এমন কিছু গুণ থাকে যার কারণে সমাজে তাকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। এই গুণগুলির আলোচনা মহাত্মা বিদুর বিদুর নীতিতে করেছেন।

শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির গুণাবলি

মহাত্মা বিদুরের মতে, যদি কোনো ব্যক্তি শান্ত হয়ে থাকা পুরনো শত্রুতাকে নতুন করে জাগিয়ে না তোলে এবং ক্ষমা করে জীবনে এগিয়ে যায়, তাহলে সমাজের মানুষ তাকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করে। এই গুণটি প্রত্যেককে গ্রহণ করা উচিত যাতে জীবনে এগিয়ে যাওয়া যায়।

অহংকার এমন একটি মন্দ গুণ যা ব্যক্তিকে সাফল্যের শিখর থেকে নিচে নামিয়ে আনে। অহংকারী ব্যক্তিকে মানুষ কম সম্মান করে। বিদুর নীতি অনুসারে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির দ্বিতীয় গুণ হলো নম্রতা। এমন ব্যক্তি সাফল্য অর্জনের পরেও অহংকার করে না এবং তার আচরণে নম্রতা ও মধুরতা বজায় রাখে। মহাত্মা বিদুরের মতে, এমন ব্যক্তি সামনের জনকে ছোট মনে করায় না এবং নিজের প্রশংসা নিজে করে না। এমন মানুষকে মানুষ সম্মান করে।

কঠিন সময়ে সংযম বজায় রেখে কাজ করা সহজ নয়। বিদুর নীতি অনুসারে, কঠিন সময়েও নিজের কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং কষ্ট থেকে উপরে উঠা একজন ব্যক্তিকে শ্রেষ্ঠ করে তোলে। এমন ব্যক্তি কঠিন সময়ে অজুহাত তৈরি করে না বরং কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস রাখে।