হীরার বৃষ্টির গ্রহ! নেপচুন-ইউরেনাসে ধনসম্পদের বন্যা
সৌরজগতের দুই গ্রহ নেপচুন ও ইউরেনাসে হীরার বৃষ্টি হয়, যা পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে কোটিপতি করে তুলতে পারে! এই গ্রহ দুটির বায়ুমণ্ডলের বিশেষ গঠনের কারণে মিথেন গ্যাসের উপর চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে হাইড্রোজেন ও কার্বন আলাদা হয়ে কার্বন হীরায় রূপান্তরিত হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, এই গ্রহ দুটিতে এত পরিমাণ হীরা রয়েছে যে এগুলো পৃথিবীতে আনতে পারলে বিশ্বের অর্থনীতি বদলে যেতে পারে। তবে, এই গ্রহগুলির তাপমাত্রা প্রায় -২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মানুষের জন্য বেঁচে থাকা আসাম্ভব করে তোলে। নেপচুন ও ইউরেনাস পৃথিবীর তুলনায় যথাক্রমে ১৫ ও ১৭ গুণ বড়, এবং এদের দূরত্ব সৌরজগতের সবচেয়ে দূরবর্তী গ্রহ হিসেবে এদের অবস্থানকে আরও রহস্যময় করে।
এই গ্রহ দুটির আবহাওয়া পৃথিবীর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। নেপচুনে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৫০০ মাইল পর্যন্ত হতে পারে, যা সুপারসনিক গতির। মিথেনের উপস্থিতি এই হীরা তৈরির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। মহাকাশ গবেষক নাওমি রো-গার্নি জানিয়েছেন, এই হীরাগুলো মেঘে প্রাকৃতিকভাবে থাকে না, বরং একটি বিশেষ রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়। তবে, এই গ্রহ থেকে হীরা পৃথিবীতে আনা বর্তমান প্রযুক্তিতে প্রায় আসাম্ভব। এই গ্রহগুলির পৃষ্ঠ সমতল এবং বাতাসের প্রবাহ এত তীব্র যে সেখানে কোনো মানুষ বা যন্ত্রের টিকে থাকা কঠিন। তবু, এই হীরার বৃষ্টির গল্প মানুষের কল্পনাকে উসকে দেয় এবং মহাকাশ গবেষণার নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়।