স্তনদুগ্ধ শুধু নবজাতকদের জন্য নয়, এখন প্রাপ্তবয়স্করাও এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। বিশ্বজুড়ে এই অদ্ভুত প্রবণতা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। কেউ মনে করছেন, স্তনদুগ্ধে থাকা ল্যাকটোফেরিন ও ইমিউনোগ্লোবিউলিন তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে, বিশেষ করে ক্যানসার বা কোভিড-পরবর্তী দুর্বলতার বিরুদ্ধে। ফিটনেসপ্রেমীরা এটিকে প্রাকৃতিক প্রোটিন শেক হিসেবে দেখছেন, যা পেশি গঠনে সহায়ক। এমনকি, কিছু ক্যানসার রোগী এটিকে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে গ্রহণ করছেন। এই চাহিদার জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ায় স্তনদুগ্ধ বিক্রির ট্রেন্ড বাড়ছে। তবে, এই প্রবণতা শুধু স্বাস্থ্য নিয়ে নয়, সামাজিক ও নৈতিক প্রশ্নও তুলছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করছে।

বিজ্ঞান কিন্তু এই প্রবণতাকে সমর্থন করে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও ইউনিসেফ জানিয়েছে, স্তনদুগ্ধ শুধু শিশুদের জন্য, কারণ এটি মা ও শিশুর জৈবিক ও মানসিক সংযোগের অংশ। চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন, অজানা উৎস থেকে কেনা স্তনদুগ্ধে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি ও সি-এর মতো প্রাণঘাতী রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া, এই প্রবণতা নৈতিকভাবে বিতর্কিত, কারণ শিশুদের জন্য অপরিহার্য এই খাবার প্রাপ্তবয়স্কদের হাতে চলে যাওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি হতে পারে। এই প্রবণতা কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, নাকি বিপদ ডেকে আনছে? এই প্রশ্নই এখন সবার মনে।