রাশিয়ার মারণ হামলা: ইউক্রেনে ৪০০ ড্রোন, ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র!

রাশিয়া ইউক্রেনের উপর তিন বছরের চলমান যুদ্ধে সবচেয়ে বড় আক্রমণ চালিয়েছে, যেখানে ৪০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। কিয়েভ, লভিভ, সুমিসহ নয়টি অঞ্চল লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়, যা ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি “বিশাল ধ্বংসযজ্ঞ” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, এতে ছয়জন নিহত এবং ৮০ জন আহত হয়েছেন, কিছু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারেন। কিয়েভের অপারেশন স্পাইডারওয়েব, যেখানে রাশিয়ার একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এই হামলার প্রতিক্রিয়া বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে। জেলেনস্কি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিন্দার অভাবকে তুলে ধরে বলেন, এটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কৌশল।
জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “রাশিয়া বিশ্বের ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। কূটনীতি ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তার মাধ্যমে এই আক্রমণ বন্ধ করতে হবে।” সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিয়েভে তিনজন অগ্নিনির্বাপক, লুটস্কে দুই বেসামরিক এবং চেরনিহিভে একজন নিহত হয়েছেন। এই হামলা ইউক্রেনের অবকাঠামো ও জনজীবনে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এখন কূটনৈতিক সমাধান এবং মানবিক সহায়তার দিকে।