গোপন তথ্যের পর দিল্লি পুলিশ তরমুজ বোঝাই ট্রাক আটকালো, ভেতরে যা মিলল তা দেখে সবাই অবাক!

দিল্লি পুলিশ শহরে গাঁজা (মারিজুয়ানা) চোরাচালানের একটি চক্রের পর্দাফাঁস করে এর দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সফল হয়েছে। অভিযুক্তরা অত্যন্ত চতুরতার সাথে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে গাঁজা নিয়ে আসছিল এবং চোরাচালানের জন্য তরমুজ বোঝাই ট্রাক ব্যবহার করছিল। এই অভিযানে পুলিশ চোরাচালানের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে ৩৪৬.১৭১ কিলোগ্রাম (প্রায় সাড়ে তিন কুইন্টাল) গাঁজা উদ্ধার করেছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ১.৭৫ কোটি টাকা বলে জানানো হয়েছে।
পুলিশ এই অভিযান শহরের সোনিয়া বিহার এলাকায় চালিয়েছে। পুলিশ যে দুজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, তাদের পরিচয় ইনতেজার মালিক (৩১) এবং রিজওয়ান (৩২)। পুলিশ জানিয়েছে যে, মালিক এই চোরাচালান চক্রের মূল হোতা এবং একবার অন্ধ্রপ্রদেশে NDPS আইনের অধীনে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। অন্যদিকে, গ্রেপ্তার হওয়া অন্য অভিযুক্ত রিজওয়ান কমিশনের ভিত্তিতে ড্রাইভারি করত এবং এই ধরনের একটি মামলায় তাকে আগেই খোঁজা হচ্ছিল। পুলিশ অনুযায়ী, গাঁজা চোরাচালানে রিজওয়ান মালিককে সাহায্য করেছিল এবং তার জন্য ট্রাক চালিয়ে দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে এসেছিল।
পুলিশের বক্তব্য, মালিক গত চার-পাঁচ বছর ধরে একই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজামুন্দ্রি থেকে মারিজুয়ানা চোরাচালান করে আসছিল। মামলার তথ্য দিতে গিয়ে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (অপরাধ) অপূর্বা গুপ্তা জানিয়েছেন, ‘একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ উত্তর-পূর্ব দিল্লির সোনিয়া বিহার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই জব্দকরণ অভিযান চালায়। অভিযুক্তরা তরমুজ বোঝাই ট্রাকে মারিজুয়ানা লুকিয়ে অবৈধভাবে চোরাচালান করছিল।’
গুপ্তা আরও জানিয়েছেন যে, পুলিশ তথ্য পেয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মাদকদ্রব্যের একটি চালান সোনিয়া বিহারের পুস্তা রোড দিয়ে দিল্লিতে আসছে। এরপর ২১ মে রাত প্রায় ২টায় তথ্যে উল্লিখিত ট্রাকের মতো দেখতে একটি ট্রাককে আটকানো হয়।
ডিসিআর আরও বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছিল ট্রাকে তরমুজ ভরা আছে, কিন্তু পরে ট্রাকের নিচে ১৭টি প্লাস্টিকের ব্যাগ পাওয়া যায়, যেগুলিতে সবুজ পাতার মতো কিছু জিনিস ভরা ছিল, পরে যা গাঁজা হিসেবে নিশ্চিত হয়।’
পুলিশ জানিয়েছে যে, এই মামলায় তারা নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সেস (NDPS) আইনের অধীনে মামলা দায়ের করে দুই অভিযুক্তকে বিচারিক হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেছেন যে, সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের সরবরাহ নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করার জন্য আরও তদন্ত চলছে।