পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতারের পর নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর পুরনো সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইডি কর্তৃক ফ্রিজ করায় তিনি বিধানসভার বেতন এবং প্রাক্তন শিক্ষক হিসেবে পেনশন পাচ্ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে তিনি আর্থিক লেনদেনের পথ খুঁজে নিয়েছেন। এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কারণ এটি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার গুরুত্ব এবং এর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের উপর প্রভাব তুলে ধরে। মানিক ভট্টাচার্যের এই পদক্ষেপ তাঁর আইনি লড়াইয়ের একটি নতুন মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইডি-র তদন্ত এবং অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের ফলে মানিক ভট্টাচার্যের আর্থিক সংকট প্রকট হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন প্রভাবশালী নেতা এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তবে, এই মামলায় তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ তাঁর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনে বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে তিনি আপাতত আর্থিক লেনদেনের পথ সুগম করলেও, মামলার তদন্ত এখনও চলমান। এই ঘটনা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার গভীরতা এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের উপর আইনি প্রভাব নিয়ে নতুন বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। জনমনে প্রশ্ন উঠছে, এই মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব কতদূর বিস্তৃত হবে।