আজারবাইজানের ‘থান্ডার’ কেনা: আর্মেনিয়ার জন্য শঙ্কা, ভারত-ফ্রান্সের দিকে ঝুঁকছে কেন?

দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে নতুন উত্তেজনার আবহ তৈরি হচ্ছে। আজারবাইজান পাকিস্তানের সঙ্গে ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার আওতায় ৪০টি অত্যাধুনিক জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান কিনছে। এই বিমানগুলো চীন-পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে তৈরি, যার মধ্যে ব্লক III সংস্করণে রয়েছে AESA রাডার, উন্নত এভিওনিক্স এবং শক্তিশালী অস্ত্র। প্রথম বিমানটি গত ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪-এ আজারবাইজানে পৌঁছেছে। এই পদক্ষেপ অঞ্চলের সামরিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে, যা ভারতের মিত্র আর্মেনিয়ার জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ২০২৫ সালের শান্তি আলোচনার আগে এটি আর্মেনিয়ার ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির কৌশল হতে পারে।
আর্মেনিয়ার বিমান বাহিনী ইতিমধ্যেই সীমিত সম্পদ নিয়ে চলছে। ২০২০ সালের নাগোর্নো-কারাবাখ যুদ্ধে আজারবাইজানের ইসরায়েলি ও তুর্কি ড্রোনের আধিপত্য তাদের দুর্বলতা ফুটিয়ে তুলেছিল। এখন জেএফ-১৭ এর মতো উন্নত যুদ্ধবিমান আজারবাইজানের হাতে এলে শক্তির ভারসাম্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আর্মেনিয়া, যিনি একসময় রাশিয়ার ওপর নির্ভর করতেন, এখন ফ্রান্স ও ভারতের দিকে ঝুঁকছে। ফ্রান্সের সিজার হাউইটজার সরবরাহ এবং ভারতের Su-30MKI যুদ্ধবিমান বা রাশিয়ান Su-30SM আপগ্রেডের সম্ভাবনা আর্মেনিয়ার জন্য নতুন আশা। তবে, রাফালের মতো ব্যয়বহুল বিকল্পের তুলনায় ভারতের সাশ্রয়ী সমাধানই হতে পারে তাদের নতুন প্রতিরক্ষা কৌশলের মূল চাবিকাঠি।