থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ায় যুদ্ধের ছায়া, সীমান্তে কেন এত উত্তেজনা?

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ায় যুদ্ধের ছায়া, সীমান্তে কেন এত উত্তেজনা?

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই শান্তিপ্রিয় দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত বিরোধ নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, যা যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করছে। ২৮ মে একটি অনির্ধারিত সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষে একজন কম্বোডিয়ান সৈন্য নিহত হওয়ার পর থেকে উভয় দেশ বিপুল সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন করেছে। থাইল্যান্ড অভিযোগ করেছে, কম্বোডিয়ার সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকরা তাদের সীমান্তে বারবার অনুপ্রবেশ করছে, যা উস্কানিমূলক। থাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফুমথাম ভেচায়াচাই জানিয়েছেন, কম্বোডিয়া দ্বিপাক্ষিক আলোচনা প্রত্যাখ্যান করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এই উত্তেজনা অঞ্চলের শান্তি প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ভারত-পাকিস্তান বা চীন-তাইওয়ানের মতো বিরোধের সঙ্গে তুলনীয় হয়ে উঠেছে।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বলেছেন, তাঁর দেশ যুদ্ধ চায় না, তবে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পিছপা হবে না। ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে শতাব্দী প্রাচীন বিরোধ, বিশেষ করে ২০০৮ সালে একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দির নিয়ে সংঘর্ষের স্মৃতি এখনও তাজা। কম্বোডিয়া এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও, থাইল্যান্ড কেবল দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পক্ষে। এখনও কোনও সমাধানের পথ খোলেনি, এবং সীমান্তে সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য সংঘাতের মাঝে এই নতুন বিরোধ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এখন এই অঞ্চলের দিকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *