রাজনৈতিক ব্র্যান্ড হিসেবে মোদির ১১ বছরের যাত্রা: কীভাবে আস্থা ও শক্তির প্রতীক হয়ে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ১১ বছর পূর্ণ করেছেন এবং কেন্দ্রে তার তৃতীয় সরকারের এক বছরও পেরিয়েছে। এই সময়কালে মোদি সরকার এমন অনেক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ২০১৪ সালে বিজেপি নরেন্দ্র মোদির মতো একজন ক্যারিশম্যাটিক নেতা পেয়েছিল এবং তার পর থেকেই মোদি দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছেন। তার নেতৃত্বে বিজেপি টানা তিনবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছে এবং একের পর এক রাজ্যে তাদের বিজয় পতাকা উড়িয়ে চলেছে, যা তাকে কেবল ভারতেই নয়, বিশ্বজুড়ে এক শক্তিশালী নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
‘ব্র্যান্ড মোদি’ এর ক্রমবর্ধমান শক্তি গত ১১ বছরে সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে বৈশ্বিক মঞ্চ পর্যন্ত সর্বত্র তার প্রভাব বিস্তার করেছে। নোটবন্দি, জিএসটি, এবং রাফালসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদের আক্রমণ সত্ত্বেও মোদি সরকার তার জনকল্যাণমূলক প্রকল্প, যেমন উজালা যোজনা, জনধন, এবং আয়ুষ্মান ভারত, এবং অপারেশন সিন্ধুরের মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনে আস্থা তৈরি করেছে। এছাড়া, হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডার পাশাপাশি সামাজিক প্রকৌশল এবং শক্তিশালী জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে বিজেপি দেশের ৭০ শতাংশ অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে।