ভারতের দরজায় বড় বিপদ, চীন কোন চাল চালল?

ভারতের দরজায় বড় বিপদ, চীন কোন চাল চালল?

ভারত বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের বন্ধু চীন এই বিষয়টি মোটেই হজম করতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে ড্রাগন এমন একটি চাল চালল, যার কারণে ভারতের দরজায় এক বড় বিপদ এসে দাঁড়িয়েছে। যদি চীনের এই চালের দ্রুত কোনো সমাধান না করা হয়, তাহলে ভারতের কারখানাগুলিতে শীঘ্রই তালা পড়তে পারে। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, চীন এমন কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার কারণে ভারতে এত বড় বিপদ এসে দাঁড়িয়েছে? সেই সঙ্গে ভারত এই বিপদ থেকে মুক্তি পেতে কোন পথে হাঁটছে? আসুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া যাক।

চীন এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন ভারত সহ বিশ্বের অনেক বড় দেশকে ধাক্কা দিয়েছে। চীন বিরল পৃথিবী চুম্বক (Rare Earth Magnets) রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে ভারতের ইভি (EV) এবং ইলেকট্রনিক্স শিল্পের সামনে এক বড় বিপদ এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বিরল পৃথিবী মৌল (Rare Earth Element) খনিজ খননে চীনের ৭০ শতাংশ অংশীদারিত্ব দেখা যায়। যেখানে উৎপাদনে চীনের অবদান ৯০ শতাংশের বেশি। এমন পরিস্থিতিতে চীন ট্রাম্প ট্যারিফের মাঝে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা শুধুমাত্র ভারতের জন্যই নয়, পুরো বিশ্বের জন্যই বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

ভারত কী করছে?

এই সমস্যার সমাধানের জন্য ভারতও এগিয়ে যাচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত সরকার এর সরবরাহের জন্য চীনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এছাড়াও, ভারত অন্য দেশগুলির সাথে এই বিরল পৃথিবী চুম্বকের সরবরাহের জন্য কথা বলা শুরু করেছে। এই দেশগুলির মধ্যে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, আমেরিকা এবং রাশিয়া রয়েছে। তবে ভারতের মনোযোগ সেই দেশগুলির দিকে, যেখান থেকে সরবরাহ দ্রুত শুরু হতে পারে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলির সাথে এর সরবরাহ শৃঙ্খল ৪৫ দিনের মধ্যে শুরু হতে পারে। যেখানে রাশিয়া এবং আমেরিকা থেকে সরবরাহ শৃঙ্খল শুরু হতে ৬০ দিন সময় লাগতে পারে। ভারতের কর্মকর্তারা বলছেন যে, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে বিরল পৃথিবী কেনার সম্ভাবনা বেশি দেখা যাচ্ছে। উভয় দেশের বিরল পৃথিবীর গুণগত মান ভালো। যেখানে জাপানের কাছে এমন গুণগত মান নেই, যা চীনে দেখা যায়। তবে ভারত চীনের সাথেও কূটনৈতিকভাবে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছে।

ভারতের কেমন সমস্যা হতে পারে?

ভারতের বিরল পৃথিবী চুম্বকের আমদানি ৮০৯ টন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অটো কো ম্পা নিগুলির কাছে জুন মাস পর্যন্ত স্টক অবশিষ্ট আছে। এর সবচেয়ে বড় কারণ এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে কোনো সরবরাহ না থাকা। মিডিয়া রিপোর্টে সূত্র উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে, চীন থেকে বিরল পৃথিবী চুম্বকের সরবরাহ বন্ধ হওয়ার কারণে অটো শিল্পের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক শিল্পেও ব্যাপক খারাপ প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে স্মার্টওয়াচ এবং ওয়্যারলেস ইয়ারবাড-এর উৎপাদন বেশ হ্রাস পাবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কো ম্পা নিগুলির কাছে খুবই কম দিনের স্টক আছে এবং চীন থেকে সরবরাহ না এলে উৎপাদন বন্ধও হতে পারে। যার কারণে সেই সমস্ত জিনিসের ঘাটতি দেখা যাবে যেখানে বিরল পৃথিবী চুম্বক ব্যবহার করা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *