গোলাপী ঠোঁট পেতে আমরা কত কিছুই না করি। কিন্তু জানেন কি, আমাদের মুখের ত্বকের মতোই ঠোঁটেরও বিশেষ যত্নের প্রয়োজন? ঠোঁটের ত্বক খুবই সংবেদনশীল হওয়ায় ধুলো, দূষণ এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এসে সহজেই কালচে হয়ে যায় বা পিগমেন্টেশন দেখা দেয়। সাধারণত আমরা মুখের ত্বক এক্সফোলিয়েট করলেও ঠোঁটের ক্ষেত্রে প্রায়শই তা ভুলে যাই, যার ফলে মৃত কোষ জমে ঠোঁটের স্বাভাবিক গোলাপি আভা ম্লান হয়ে যায়।

দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে ঘরোয়া উপায়েই ঠোঁটের সঠিক যত্ন নেওয়া সম্ভব। স্ক্রাবিং এক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। স্ক্রাব কেবল মৃত কোষই দূর করে না, বরং রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে এবং পিগমেন্টেশন কমাতেও সাহায্য করে। এখানে তিনটি প্রাকৃতিক স্ক্রাবের কথা বলা হলো, যা আপনার ঠোঁটকে নরম, সতেজ ও গোলাপী করতে সাহায্য করবে।

ঠোঁটকে সতেজ রাখতে ৩ ঘরোয়া স্ক্রাব

কফি, মধু ও নারকেল তেলের স্ক্রাব

ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করার জন্য একটি ছোট চামচ মধু, কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল এবং সামান্য কফি পাউডার মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি দিয়ে আপনার ঠোঁটে আলতো করে বৃত্তাকার গতিতে ম্যাসাজ করুন। কফি মৃত কোষ দূর করে এবং রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ায়, অন্যদিকে মধু ও নারকেল তেল ঠোঁটকে নরম ও ময়েশ্চারাইজড রাখে।

শসার রস ও চিনির স্ক্রাব

গ্রীষ্মকালে শসা ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি আপনার শুষ্ক ঠোঁটকে হাইড্রেট করবে। শসার রসের সাথে গোলাপজল, দুই-তিন ফোঁটা লেবুর রস এবং অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এতে সামান্য দানাদার চিনি যোগ করে স্ক্রাব করুন। এটি আপনার ঠোঁটের রঙ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।

লেবুর রস ও চিনির স্ক্রাব

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। লেবুর রসের সাথে চিনি এবং জলপাই বা নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এই স্ক্রাবটি এক থেকে দেড় মিনিট ধরে ঠোঁটে বৃত্তাকার গতিতে ম্যাসাজ করুন এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন।

স্ক্রাবিং এর পর ময়েশ্চারাইজার আবশ্যক

স্ক্রাবিংয়ের পর ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ করতে ভুলবেন না। প্রতিদিনের রুটিনে এমন একটি লিপ বাম ব্যবহার করুন যা ঠোঁটকে সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করবে, কারণ সূর্যের আলোও পিগমেন্টেশনের একটি কারণ।