‘ব্রহ্মোস’-এর ভয়ে এখনও কাঁপছে পাকিস্তান, ভারতের বন্ধুর কাছ থেকে চাইছে রক্ষা করার জন্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

‘ব্রহ্মোস’-এর ভয়ে এখনও কাঁপছে পাকিস্তান, ভারতের বন্ধুর কাছ থেকে চাইছে রক্ষা করার জন্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

হ্যাঁ… একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, পাকিস্তান তার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে চায়। এর জন্য তারা জার্মানি এবং ইতালির উপর আশা করে আছে।

আসলে, ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানকে যথেষ্ট ক্ষতি করেছিল। তাদের চীনা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতের আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছিল। ব্রহ্মোসের কারণে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী চাপে আছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, পাকিস্তানের নজর জার্মানির আইআরআইএস-টি (IRIS-T) এবং ইতালির সিএএমএম-ইআর (CAMM-ER) এর দিকে। পাকিস্তান জার্মানির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আইআরআইএস-টি বেছে নিতে পারে। এটি সম্প্রতি ইউক্রেনে তার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।

পাকিস্তানের প্রথম পছন্দ আইআরআইএস-টি

রিজোনেন্ট নিউজের (Resonant News) রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান জার্মানির আইআরআইএস-টি-তে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। জার্মানির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্রহ্মোসের মতো সুপারসোনিক মিসাইল থামানোর ক্ষমতা রাখে। অন্যদিকে, ইতালির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রেঞ্জ এবং ইন্টারসেপশন স্পিড ব্রহ্মোসের তুলনায় অনেক কম। তাই তারা জার্মানির দিকে বেশি ঝুঁকছে।

জার্মানির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য কী?

জার্মানির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আইআরআইএস-টি-এর কথা বললে, এটি মিড রেঞ্জের সাথে আসে। এটি প্রায় ৪০ কিলোমিটারের রেঞ্জ সরবরাহ করে এবং ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় লক্ষ্যবস্তুকে সহজেই ভেদ করতে পারে। এটি ড্রোন এবং ক্রুজ মিসাইলের বিরুদ্ধে বেশ কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।

পাকিস্তানের জার্মানির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কেন আগ্রহ বাড়ল?

আইআরআইএস-টি ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি রাশিয়ার প্রায় ৬০টি মিসাইল এবং ড্রোন থামিয়েছিল। এর মধ্যে পি-৮০০ অনিক্সও অন্তর্ভুক্ত। এই মিসাইলটি প্রযুক্তিগতভাবে ব্রহ্মোসের মতোই। এই কারণেই পাকিস্তান এই বিমান প্রতিরক্ষায় বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *