বিশ্বজুড়ে সময়ের সাথে সাথে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। একসময় মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি পুরোপুরি কেবলের উপর নির্ভরশীল ছিল, কিন্তু আজ ইন্টারনেটের উন্নতির কারণে এই সেক্টরে সবচেয়ে বেশি আঘাত লেগেছে। এর ফলস্বরূপ, এই ক্ষেত্রের সাথে যুক্ত প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ এখন বেকার হয়ে পড়েছেন।

রিপোর্ট অনুযায়ী, যদি আগামী দিনে এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে এই সেক্টরের প্রায় ১০ লাখ মানুষ বেকারত্বের শিকার হতে পারেন।

ভোক্তা বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব সঞ্জীব শঙ্কর মনে করেন যে, কেবল শিল্পকে বাঁচানোর জন্য যে রিপোর্টটি পেশ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতে এই সেক্টরের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরা হয়েছে।

কেবল নেটওয়ার্কের চ্যালেঞ্জ

তিনি বলেন, আজ যখন মানুষের কাছে ইন্টারনেটে ওটিটি (OTT) এর মতো ভালো কন্টেন্ট দেখার প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, তখন কেন মানুষ কেবল দেখতে পছন্দ করবে? উল্লেখ্য, কেবল শিল্প সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে, যা প্রায় ২৮ হাজার কেবল অপারেটরের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তৈরি করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে যে, যেখানে ২০২৪ সালে ১১১ মিলিয়ন গ্রাহক ছিল, সেখানে ছয় বছর পর অর্থাৎ ২০৩০ সালে এটি কমে ৭১ থেকে ৮১ মিলিয়নের মধ্যে থাকবে।

গত ছয় বছরে ৩১ শতাংশ বেকার

কেবল শিল্পে গত ছয় বছরে অর্থাৎ ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ৩১ শতাংশ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন, যখন পাইরেসির কারণে এই শিল্প প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এদিকে, দেশে ইন্টারনেট সাবস্ক্রিপশন প্রায় ১ বিলিয়নের উপরে চলে গেছে, যার মধ্যে ব্রডব্যান্ড সংযোগকারী ৯৪৫ মিলিয়ন।