পাকিস্তানের ভঙ্গুর অর্থনীতি যখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) থেকে ঋণ পেতে মরিয়া, এবং জনগণ যখন তীব্র মূল্যস্ফীতির বোঝা বয়ে চলেছে, তখন দেশটির দুই শীর্ষ সংসদীয় কর্মকর্তার বেতন বৃদ্ধি নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে সিনেট চেয়ারম্যান ও জাতীয় পরিষদের স্পিকারের মাসিক বেতন ২.০৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি থেকে বাড়িয়ে ১৩ লাখ রুপি করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৬.৫ লাখ রুপি ‘সাম্পচুয়ারি অ্যালাউন্স’, যা তাদের মোট মাসিক আয় ১৯.৫ লাখ রুপিতে উন্নীত করেছে।

এই বিপুল বেতন বৃদ্ধি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও সেনাপ্রধান অসীম মুনিরের বেতনের চেয়েও কয়েক গুণ বেশি। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর মাসিক বেতন প্রায় ৩ লাখ রুপি এবং সেনাপ্রধানের ২.৫ লাখ রুপি, সেখানে এই দুই কর্মকর্তার আয় প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে ৬.৫ গুণ এবং সেনাপ্রধানের চেয়ে প্রায় ৮ গুণ বেশি। এই সিদ্ধান্তে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এবং ক্ষমতাসীন দল PML-N-এর অভ্যন্তরেও এর সমালোচনা হচ্ছে। দলের সিনিয়র নেতা সাদ রফিক এই বেতন বৃদ্ধিকে ‘নৈতিকভাবে ভুল’ আখ্যায়িত করেছেন।