রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কি পারবে অর্থনীতির হাল ফেরাতে? বেসরকারি লগ্নি কবে আসবে

ভারতের অর্থনীতিতে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে, যা দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে চরম দারিদ্র উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০১১-১২ থেকে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে প্রায় ২৬.৯ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং দারিদ্র্যের হার ২৭.১ শতাংশ থেকে কমে ৫.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই সাফল্যের পেছনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকা বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে, যেখানে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলো দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
তবে, অর্থনীতির এই উজ্জ্বল চিত্রের পাশেই কিছু চ্যালেঞ্জও বিদ্যমান। জিডিপি বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে ৬.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা কোভিড-পরবর্তী সময়ে সর্বনিম্ন। এর প্রধান কারণ উৎপাদন শিল্পে মন্দা, যা কর্মসংস্থানের সুযোগ কমিয়ে দিয়েছে এবং বাজারে পণ্যের চাহিদা হ্রাস করেছে। এই পরিস্থিতিতে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমানোর অপ্রত্যাশিত ঘোষণা করেছে, যা গত চার মাসে মোট ১০০ বেসিস পয়েন্টের হ্রাস। এর পাশাপাশি, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির হাতে নগদ অর্থের জোগান বাড়াতে নগদ জমার অনুপাত (CRR) কমানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হলো, সুদের হার কমানো এবং তারল্য বৃদ্ধি কি বেসরকারি লগ্নিকে আকৃষ্ট করতে পারবে এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সফল হবে? অতীতে কর্পোরেট কর কমানো বা সরকারি লগ্নি বৃদ্ধিও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছিল, যা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।