আদানির জালে এলআইসি, গ্রাহকদের টাকা কি সুরক্ষিত? রাহুলের মন্তব্যে শোরগোল!

সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা এলআইসি’র আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেডের ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড কেনা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই বিনিয়োগের ফলে আদানি গোষ্ঠী লাভবান হবে বলে অভিযোগ তুলেছেন রাহুল গান্ধী, যা যেন তার পিতামহ ফিরোজ গান্ধীর এলআইসি সংক্রান্ত পুরনো সমালোচনার সুরকে ফিরিয়ে এনেছে। রাহুল মন্তব্য করেছেন, “টাকা আপনার, বিমার পলিসি কিনেছেন আপনি, কিস্তিও দিচ্ছেন আপনি। কিন্তু সুরক্ষা, সুবিধা আর মুনাফা সবই আদানির!” এই বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ এবং অন্যান্য সংস্থার সাড়া না দেওয়া সত্ত্বেও এলআইসি’র এই বন্ড কেনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ আদানি পোর্টস-এ ইতিমধ্যেই এলআইসি’র ৮.০৬ শতাংশ ইক্যুইটি শেয়ার রয়েছে।
এই বিনিয়োগের ফলে বিরোধীরা উদ্বিগ্ন, কারণ তাদের মতে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের তহবিল নির্বাচিত বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। এর আগেও হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের জেরে আদানি গ্রুপের শেয়ারের দর পড়ে যাওয়ায় এলআইসি একদিনে ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছিল। জনগণের টাকা যেখানে গচ্ছিত, সেই এলআইসি’কে বারবার কেন আদানির সংস্থায় টাকা ঢালতে বাধ্য করা হচ্ছে, এই প্রশ্নই এখন জোরালো হচ্ছে। বিশেষ করে মোদি সরকারের ক্ষমতায় আসার পর গৌতম আদানির রকেটের মতো উত্থান এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে রাহুল গান্ধীসহ বিরোধী দলের নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন। এই পরিস্থিতিতে আদানি বিতর্কে জড়িয়ে গিয়ে এলআইসি’র ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়ছে।