পশ্চিমবঙ্গে স্মার্ট মিটার স্থাপন নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন যে তাদের বাড়িতে জোরপূর্বক স্মার্ট মিটার বসানো হচ্ছে এবং এর ফলে বিদ্যুতের বিল অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, রাজ্য সরকার আপাতত সরকারি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত কোনো আবাসিক বাড়িতে স্মার্ট মিটার স্থাপন না করার নির্দেশ জারি করেছে।

সোমবার জারি করা বিদ্যুৎ দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে কিছু বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো হলেও অসংখ্য অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। হুগলির রবীন্দ্রনগর কালীতলার বাসিন্দারা স্মার্ট মিটারের অস্বাভাবিক বিল নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। তাদের দাবি, জোর করে মিটার বসানোর পর থেকেই বিল কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এছাড়া, ব্যান্ডেলের একটি পরিবারও একই ধরনের অভিযোগ করেছে, যেখানে এক মাসে ১২ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল এসেছে। এই ধরনের পরপর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ দফতর আবাসিক বাড়িতে স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার স্মার্ট মিটার স্থাপন করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৬৫ শতাংশ আবাসিক বাড়িতে এবং বাকি ৩৫ শতাংশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বসানো হয়। জানা গেছে, বারাসাতের চাঁপাডালি মোড়ে স্মার্ট মিটার নিয়ে ওঠা অভিযোগ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছায়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যুৎ দফতরকে এই বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ দেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী যখন সব রাজ্যকে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্মার্ট মিটার বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন, তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবে, সেটাই দেখার।