সোনম বিয়ে করতে চাইছিল না… রাজ কুশওয়াহার ঠাকুমা করলেন চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি, জেনে নিন কী কী বললেন!

ইন্দোরের ২৯ বছর বয়সী ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর মেঘালয়ে হানিমুনের সময় হত্যা পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তার স্ত্রী সোনম রঘুবংশী এবং তার কথিত প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার কেন্দ্র করে এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের গল্প ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতা এবং নিষ্ঠুরতার পরত উন্মোচন করেছে।
মেঘালয় পুলিশ এই মামলার নাম দিয়েছে “অপারেশন হানিমুন“, যা একটি সুপরিকল্পিত सुपारी কিলিংয়ের দিকে ইঙ্গিত করে। এখন রাজা রঘুবংশীর হত্যাকাণ্ডের মামলায় অভিযুক্ত রাজ কুশওয়াহার পরিবার তাকে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছে।
ফতেহপুরের গাজিপুর থানা এলাকার রামপুর সুকেতি গ্রামের বাসিন্দা রাজ কুশওয়াহার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন যে, বাবার মৃত্যুর পর সে ইন্দোরে সোনমের কারখানায় কাজ করত। সোনম বিয়ে করতে চাইছিল না। সোনম তার স্বামীকে মেরে ফেলেছে এবং তার নাতিকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। পরিবারের সদস্যরা এই মামলায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
রাজা রঘুবংশী হত্যা: সোনম ও রাজের সম্পর্ক এবং পরিবারের দাবি!
মেঘালয়ে হানিমুনে যাওয়া সোনম এবং রাজা রঘুবংশীর ঘটনা মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের হস্তক্ষেপের পর রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডের রহস্যের চাঞ্চল্যকর উন্মোচন হয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পুলিশ সোনমকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এদিকে, এই মামলায় রাজ কুশওয়াহার নাম সামনে আসার পর ফতেহপুর পুলিশও সক্রিয় হয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বললে তারা জানান যে, রাজ কুশওয়াহা ছোটবেলা থেকেই তার বাবার সাথে ইন্দোরের ফলমন্ডিতে থাকত। পাঁচ বছর আগে রাজের বাবা মারা যাওয়ার পর রাজ তার পরিবারের ভরণপোষণ করত। রাজের তিন বোন আছে, যখন তার বড় বোন জেলায় থেকে ঠাকুমা এবং কাকার সাথে পড়াশোনা করে। ঠাকুমা এই মামলায় তার নাতিকে নির্দোষ বলে দাবি করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা দীনেশ সিং জানিয়েছেন যে, রাজ আগে ভালো জীবনযাপন করছিল। রাজের মা ১০ দিন আগে একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন। রাজের বাবা মারা গেছেন এবং বাড়িতে দাদা, ঠাকুমা এবং কাকা থাকেন। দীনেশ সিং জানিয়েছেন যে, তিনি সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে এই ঘটনার খবর পেয়েছেন।