এম.টেক পড়াশোনার জন্য কত টাকা শিক্ষা ঋণ পাওয়া যায়? EMI এবং সহজ পরিশোধের পদ্ধতি জানুন

আপনি যদি এম.টেক পড়াশোনার স্বপ্ন দেখছেন, কিন্তু ফিসের চিন্তা পিছু ছাড়ছে না, তাহলে এই খবরটি আপনার জন্য খুব কাজের। আজকাল সারা দেশে অনেক সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক শিক্ষার্থীদের এম.টেকের মতো পেশাদার কোর্সের জন্য শিক্ষা ঋণ দেওয়ার সুবিধা দিচ্ছে।
এর মধ্যে ফিসের পাশাপাশি হোস্টেল, বই, ল্যাপটপ এবং থাকার খরচও অন্তর্ভুক্ত থাকে।
এম.টেকের মতো পোস্টগ্রাজুয়েট কোর্সের জন্য শিক্ষার্থীরা ১০ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত শিক্ষা ঋণ নিতে পারে। ভারতে পড়াশোনার জন্য সাধারণত ১০-১৫ লাখ টাকা ঋণ যথেষ্ট হয়, তবে বিদেশে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী ২৫ লাখ বা তার বেশি পর্যন্ত ঋণও পাওয়া যায়। সরকারি ব্যাংকগুলোতে কিছু নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের (যেমন – আইআইটি, এনআইটি, আইআইএসসি ইত্যাদি) জন্য ঋণ দ্রুত এবং কম সুদে পাওয়া যায়।
শিক্ষা ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, EMI-এর বোঝা এবং সহজ পরিশোধের উপায়!
ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- ভর্তিপত্র (কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে)
- কোর্সের ফিস কাঠামো
- শিক্ষার্থীর পরিচয় এবং ঠিকানা প্রমাণপত্র
- বিগত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (দশম, দ্বাদশ, স্নাতক)
- পিতামাতা বা গ্যারান্টারের আয়ের প্রমাণপত্র
যদি ঋণের পরিমাণ বেশি হয় (৭.৫ লাখ টাকার বেশি), তাহলে ব্যাংককে নিরাপত্তা (যেমন জমি বা সম্পত্তি) দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
EMI-এর বোঝা কত হবে? মনে করুন আপনি ১০ লাখ টাকা শিক্ষা ঋণ নিয়েছেন এবং এর বার্ষিক সুদের হার ৯%। ব্যাংক সাধারণত ১ থেকে ২ বছরের মরোটোরিয়াম পিরিয়ড দেয়, অর্থাৎ পড়াশোনার সময় এবং তার পরে ৬-১২ মাস পর্যন্ত আপনাকে EMI দিতে হয় না। এর পরে আপনি ৭ বছরে ঋণ পরিশোধ করেন, তাহলে প্রতি মাসে প্রায় ১৪,০০০ থেকে ১৬,০০০ টাকা পর্যন্ত EMI হতে পারে। আপনি যদি দ্রুত পরিশোধ করতে চান, তাহলে ব্যাংক আপনাকে প্রি-পেমেন্টের সুবিধাও দেয়, যার ফলে সুদ কম লাগতে পারে।
সহজ পরিশোধের জন্য কী করবেন?
- পড়াশোনার পর দ্রুত চাকরি পাওয়ার পরিকল্পনা করুন যাতে EMI শুরু হওয়ার আগে আপনার আয় নিশ্চিত হয়।
- ইন্টার্নশিপ, পার্ট টাইম জব বা স্কলারশিপের সাহায্যে কিছু আয় করতে থাকুন।
- EMI পরিশোধের জন্য অটো ডেবিট বা ইসিএস (ECS) সুবিধা ব্যবহার করুন, যাতে কোনো কিস্তি বাদ না পড়ে।
- যদি চাকরি পেতে সময় লাগে, তাহলে ব্যাংকের কাছে মরোটোরিয়াম বাড়ানোর আবেদন করতে পারেন।
সরকারের সাহায্যও আছে সাথে: ভারত সরকারের ক্রেডিট গ্যারান্টি ফান্ড স্কিম (CGFSEL) এর অধীনে ৭.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত শিক্ষা ঋণ কোনো গ্যারান্টি ছাড়াই পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও ইন্টারেস্ট সাবসিডি স্কিমের অধীনে কিছু নির্বাচিত শিক্ষার্থী সুদে ছাড়ও পায়, বিশেষ করে যদি পরিবারের আয় ৪.৫ লাখ টাকার কম হয়।