সম্প্রতি, কাশ্মীর উপত্যকায় ঘটে যাওয়া পাহালগাম আক্রমণ এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ৭, লোক কল্যাণ মার্গ বাসভবনে একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নৈশভোজে মিলিত হন। এই প্রতিনিধি দলে বিরোধী শিবিরের তিন প্রভাবশালী নারী নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, সুপ্রিয়া সুলে এবং এমকে কনিমোঝি উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তান কর্তৃক সন্ত্রাসবাদের বিস্তার রোধে ভারতের দৃঢ় অবস্থান বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে এই তিন নেত্রীকে বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ করে তাঁদের বিদেশ সফরের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং তাঁদের সঙ্গে কথোপকথন করেন।

সংসদ থেকে শুরু করে সামাজিক মাধ্যম পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে এই তিন নেত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভূমিকা পালন করে থাকেন। তা সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের এই গুরুত্বপূর্ণ মিশনে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং সুপ্রিয়া সুলে ও কনিমোঝিকে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীকে ইউরোপীয় দেশগুলির সফরে পাঠানো হয়েছিল। এই ঘটনাটি রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এক নতুন ধরনের ‘ডিনার ডিপ্লোমেসি’ এবং রাজনৈতিক বিচক্ষণতা প্রকাশ পেয়েছে।