চীনের জন্য বিপর্যয়! ভারতের বন্ধু সমুদ্রের তীরে স্থাপন করলো মারণ মিসাইল লঞ্চার, ভাঙবে কি ড্রাগনের অহংকার?

চীনের জন্য বিপর্যয়! ভারতের বন্ধু সমুদ্রের তীরে স্থাপন করলো মারণ মিসাইল লঞ্চার, ভাঙবে কি ড্রাগনের অহংকার?

চীনের সাথে উত্থান-পতনের পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের বন্ধু জাপান একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা সমুদ্র সুরক্ষা আরও শক্তিশালী করার জন্য একটি বিশেষ অ্যান্টি শিপ মিসাইল সিস্টেম (Anti Ship Missile System) চালু করেছে।

এটি চীনের জন্য ধ্বংসের কারণও হতে পারে। জাপান ৮ জুন (২০২৫) শিজুওকা (Shizuoka) প্রদেশে ফুজি ফায়ারপাওয়ার (Fuji Firepower) অনুশীলনের সময় টাইপ ১২ কোস্টাল ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম (Type 12 Coastal Defense Missile System) চালু করেছে। এটি একটি দীর্ঘ-পাল্লার কোস্ট ডিফেন্স মিসাইল লঞ্চার (Coast Defense Missile Launcher)।

জাপান গ্রাউন্ড সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স (Japan Ground Self-Defense Force) এই নতুন দীর্ঘ-পাল্লার কোস্টাল ডিফেন্স মিসাইল লঞ্চারটি প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এনেছে। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থলভাগে থেকে সমুদ্রের সুরক্ষা করে। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো শত্রুর যুদ্ধজাহাজ (warships) সনাক্ত করা। এর পাশাপাশি এটি সেগুলিকে ট্র্যাক করে এবং ধ্বংস করতেও সক্ষম। এর পাল্লা প্রায় ১০০০ কিলোমিটার। এটি চীনের মতো বিপজ্জনক দেশের জন্য বিপদের ঘণ্টার চেয়ে কম নয়।

জাপানের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেন বিশেষ?

আর্মি রিকগনিশনের (Army Recognition) একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো যুদ্ধজাহাজ বা বিমান ছাড়াই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। কোস্টাল ডিফেন্স মিসাইলগুলি অ্যান্টি-অ্যাক্সেস/এরিয়া-ডিনায়াল (anti-access/area-denial) কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অত্যন্ত আধুনিক সেন্সর (sensor) ব্যবহার করা হয়েছে। এটি মোবাইল লঞ্চ (mobile launch) যানবাহনে সজ্জিত। জাপানের টাইপ ১২ (12SSM) একটি অত্যাধুনিক উপকূলীয় প্রতিরক্ষা মিসাইল সিস্টেম, যা পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তির (next generation technology) সাথে বিকশিত হয়েছে।

জাপান তার শক্তি বাড়িয়েছে

এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি বিশেষভাবে জাজল অঞ্চলের কাছাকাছি শত্রুর যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্য করার জন্য ডিজাইন (design) করা হয়েছে। এর পাল্লা ১,০০০ কিলোমিটার, যার ফলে জাপানকে একটি বৃহৎ পরিসরে সামুদ্রিক অঞ্চলে প্রতিরক্ষামূলক মারক ক্ষমতা (defensive firepower) দিয়েছে। মিসাইলটিতে একটি গোপন ডিজাইনও (secret design) রয়েছে, যা এর রাডার সিগনেচার (radar signature) হ্রাস করে। এতে এটিকে ইন্টারসেপ্ট (intercept) করা কঠিন হয়ে পড়ে। জাপান এর সাহায্যে তার শক্তি আরও বাড়িয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *