আসছে ‘বাহুবলী’! F-35 ও Su-30 এর চেয়েও শক্তিশালী, DRDO-র হাত ধরে ভারতের নতুন ইতিহাস

অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে বিশ্বে নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের পর ভারত এবার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও জোরদার করতে ভারত অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (AMCA) প্রোগ্রামের ঘোষণা করেছে। এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের লক্ষ্য হল ষষ্ঠ প্রজন্মের ফাইটার জেট তৈরি করা, যা ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এই খবর চীনের জন্য একটি বড় ধাক্কা, কারণ চীন যদিও ষষ্ঠ প্রজন্মের ফাইটার জেট তৈরির দাবি করে আসছে, কিন্তু এর কোনো আনুষ্ঠানিকL সত্যতা মেলেনি।
কেন ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এত গুরুত্বপূর্ণ? জানুন ভারতের ‘স্বনির্ভর’ স্বপ্নের খুঁটিনাটি
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রকল্পের অধীনে AMCA মার্ক-১ এবং AMCA মার্ক-২ নামে দুটি ভেরিয়েন্ট তৈরি করা হবে। মার্ক-১ প্রাথমিকভাবে GE F414 ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হবে, যদিও ইঞ্জিনের ডেলিভারিতে বিলম্বের কারণে প্রকল্পটি কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। তবে, মার্ক-২ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হবে এবং এর জন্য DRDO-র GTRE একটি ১২০ kN ক্ষমতাসম্পন্ন স্বদেশী ইঞ্জিন তৈরি করছে, যা প্রচলিত ইঞ্জিনের চেয়ে ২০% দ্রুত এবং ৩০% বেশি রেঞ্জ দেবে। ষষ্ঠ প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমানগুলো কেবল গতিশীল এবং স্টিলথ হবে না, বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ভিত্তিক কম্ব্যাট সিস্টেম, মানব চালিত বা পাইলটবিহীন উভয়ভাবেই ওড়ার ক্ষমতা এবং একই সময়ে একাধিক ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও এতে থাকবে। ভারত যখন মার্ক-২ তৈরি করে ফেলবে, তখন দেশটি আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের মতো শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর সারিতে নাম লেখাবে, যা ভারতীয় বিমানবাহিনীর শক্তিকে বহুগুণ বৃদ্ধি করবে এবং ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে আরও মজবুত করবে।