KAAN এর ডানা মেলে নতুন দিগন্তে তুরস্ক! ইন্দোনেশিয়ার সাথে চুক্তিতে বিশ্বজুড়ে নজর কেন?

KAAN এর ডানা মেলে নতুন দিগন্তে তুরস্ক! ইন্দোনেশিয়ার সাথে চুক্তিতে বিশ্বজুড়ে নজর কেন?

একদিকে যখন বিশ্বজুড়ে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা তুঙ্গে, ঠিক তখনই তুরস্ক এবং ইন্দোনেশিয়া একটি ঐতিহাসিক মুসলিম প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বে স্বাক্ষর করে নতুন একটি কৌশলগত মেরুকরণ তৈরি করেছে। এই চুক্তি প্রমাণ করে যে, অত্যাধুনিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা আর শুধু পশ্চিমা দেশগুলোর একচেটিয়া নয়; ইসলামিক বিশ্বও এখন প্রযুক্তিগত স্টিলথ যুগে প্রবেশ করছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান সরকার বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার সাথে ৪৮টি KAAN ফাইটার জেটের চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। এই ঐতিহাসিক চুক্তির মূল্য ১০ বিলিয়ন ডলার, যা শুধু তুরস্কের জন্য নয়, বরং ইসলামিক সামরিক প্রযুক্তিতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তুরস্কের ‘কায়ান’ যুদ্ধবিমান: মুসলিম বিশ্বের প্রতিরক্ষা ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় ও পশ্চিমের চিন্তা

জাকার্তায় অনুষ্ঠিত ইন্দো ডিফেন্স এক্সপো ও ফোরামের সময় এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়, যা বিশেষজ্ঞরা একটি ‘গেমচেঞ্জার মুভ’ হিসেবে দেখছেন। যদিও এই চুক্তি সম্পন্ন হতে প্রায় দশ বছর সময় লাগবে, তবে ইন্দোনেশিয়ার বিমানবাহিনীর জন্য এর গভীর অর্থ রয়েছে — এটি দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আগ্রাসন মোকাবেলায় তাদের প্রস্তুত করবে। তুর্কি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বারা তৈরি KAAN ফাইটার জেটকে তুরস্ক তার সামরিক প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরশীলতার প্রতীক হিসেবে দেখছে। এই চুক্তি ইন্দোনেশিয়াকে পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহকারীদের উপর নির্ভরতা কমাতেও সাহায্য করবে এবং তুরস্কের সাথে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের ভিত্তি স্থাপন করবে। এই চুক্তি এমন এক সময়ে হয়েছে যখন ইন্দোনেশিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের যুদ্ধবিমান বিষয়ক আলোচনা থমকে আছে, যা KAAN চুক্তিকে আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *