চীনের চালাকি ধরে ফেলল এই মুসলিম দেশ, এবার ভারতের ‘নতুন শত্রু’ তুরস্ক থেকে কিনছে যুদ্ধবিমান!

চীনের চালাকি ধরে ফেলল এই মুসলিম দেশ, এবার ভারতের ‘নতুন শত্রু’ তুরস্ক থেকে কিনছে যুদ্ধবিমান!

চীন ফাইটার জেটের নামে ‘অকেজো’ যুদ্ধবিমান বিক্রি করছে। ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক উত্তেজনার সময় ভারতীয় বিমানবাহিনী যখন তা প্রমাণ করে দিল, তখন মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার চোখ খুলে গেল। চীনের চালাকি বুঝতে পেরে ইন্দোনেশিয়া চীনের J-10 যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ভারতের ‘নতুন শত্রু’ তুরস্কের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ঘোষণা করেছেন যে, তিনি ইন্দোনেশিয়াকে পঞ্চম প্রজন্মের ৪৮টি KAAN ফাইটার জেট রপ্তানি করবেন। এটি তুরস্কের জন্য একটি জ্যাকপট, কারণ দেশের এটিই হবে প্রথম বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি।

ইন্দোনেশিয়াকে J-10 এর বদলে KAAN: চীনের প্রতারণা ফাঁস, এরদোগানের বাজিমাত!

ইন্দোনেশিয়া সম্প্রতি দাবি করেছিল যে, চীন তাদেরকে J-10 যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডোনি এরমাওয়ান তৌফান্তো এর মতে, সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষের সময় এই যুদ্ধবিমানগুলোর পরীক্ষা করা হয়েছিল। এখন সরকার তদন্ত করছে যে, চীনের এই বিমান সত্যিই ইন্দোনেশিয়ার চাহিদা পূরণ করতে পারবে কিনা। তিনি জানান যে, ইন্দোনেশিয়ান বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা সম্প্রতি চীন সফরে গেলে তাদের এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, জাকার্তা থেকে কোনো দল এখনও চীনে যায়নি।

চীন যখন ইন্দোনেশিয়ার চালাকি বুঝে ফেলল, তখন তুরস্ক সরাসরি খেলাই করে দিল। প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও বার্তায় ইন্দোনেশিয়ার সাথে চুক্তি সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান যে, KAAN বিমান তুরস্কতে তৈরি হবে এবং ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানি করা হবে। ‘তুর্কি টুডে’ এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার ‘ইন্ডো ডিফেন্স’ প্রদর্শনীতে এই চুক্তিটি হয়েছে, যা তুর্কি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের জন্য একটি বড় আন্তর্জাতিক সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট এরদোগান এর মতে, KAAN এর উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়ার সক্ষমতাও ব্যবহার করা হবে।

তুরস্কের KAAN একটি পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট, যা তার উচ্চ গতিশীলতা এবং রাডার থেকে বাঁচতে সক্ষমতার জন্য পরিচিত। এটি আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমিতে হামলা করতে সক্ষম। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে এই ফাইটার জেটটি তার প্রথম উড়ান সম্পন্ন করে, যা তুর্কি বিমানচালনার জন্য এক নতুন যুগের সূচনা বলে মনে করা হচ্ছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ইন্দোনেশিয়ার সাথে এই চুক্তির পর তার প্রতিপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে এই চুক্তি উভয় দেশের অংশীদারিত্বে একটি মাইলফলক প্রমাণ হবে।

চীনের J-10 ফাইটার জেট একটি সিঙ্গেল ইঞ্জিন মাল্টিরোল ফাইটার জেট। চীনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা অংশীদার পাকিস্তান ২০২২ সালে এটিকে তাদের বহরে অন্তর্ভুক্ত করেছিল, যার তুলনা ভারতের বহরে থাকা ফরাসি রাফাল বিমানের সাথে করা হচ্ছিল। তবে সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার সময় এই বিমানের পারফরম্যান্স আশানুরূপ ছিল না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *