ইন্দোরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশীর খুনের ঘটনাটি সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে রাজা রঘুবংশী এবং তার স্ত্রী সোনম রঘুবংশীকে নিয়ে সব জায়গায় আলোচনা চলছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজা রঘুবংশীর স্ত্রী সোনম মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা চলাকালীন তার স্বামীকে হত্যা করিয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা যায় যে, সোনম ইন্দোরেরই বাসিন্দা রাজ কুশওয়াহার প্রেমে পড়েছিল এবং তার জন্যই সে তার স্বামীকে হত্যা করিয়েছে।

অন্যদিকে, রাজ কুশওয়াহার ভাই দাবি করেছেন যে, এই সব গল্প মিথ্যা। তার ভাই রাজ কুশওয়াহাকে এই মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। রাজ তো সোনমকে বোন মানত এবং ‘দিদি’ বলে ডাকত।

এবার এই বিষয়ে বিখ্যাত অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র সমালোচক কেআরকে অর্থাৎ কামাল রশিদ খান তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি মানুষকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে, সত্যিই কি রাজ কুশওয়াহাকে ফাঁসানো হচ্ছে?

কেআরকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি রাজ কুশওয়াহার সাথে কাজ করা রাহুল-এর একটি বিবৃতি শেয়ার করেছেন। সেখানে রাহুল রাজ এবং সোনমের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। এই পোস্টের সাথে কেআরকে দাবি করেছেন যে, এই মামলায় কিছু একটা গণ্ডগোল হচ্ছে।

কেআরকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা লিখেছেন: কেআরকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পোস্টটি শেয়ার করেছেন, তাতে লেখা আছে – “রাজ কুশওয়াহা তো সোনমকে দিদি বলত। সে সোনমকে খুব সম্মান করত। প্রেমের কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম। রাজ কুশওয়াহা একজন অত্যন্ত পরিশ্রমী ছেলে ছিল। সে প্রায়শই গভীর রাত পর্যন্ত কারখানায় থাকত যাতে কাজে কোনো বাধা না আসে।”

কেআরকে এই পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন – “রাজ কি এত খারাপ যে বোনকেই ভালোবাসত, নাকি তাকে ফাঁসানো হচ্ছে? এই মামলায় কিছু তো গণ্ডগোল আছে। কিছু ভুল হচ্ছে।”

সোনম রঘুবংশী রাজকে রাখি বেঁধেছিলেন: আপনাকে জানিয়ে রাখি যে, এর আগে সোনম রঘুবংশীর ভাই গোবিন্দ রঘুবংশীও দাবি করেছিলেন যে, সোনম রাজকে ভাই মানত। গোবিন্দ সোনমের রাজকে রাখি বাঁধার কথাও বলেছিলেন। গোবিন্দ বলেছিলেন – “রাজ ২৪ ঘণ্টা সোনমকে দিদি-দিদি বলত।” একই কথা রাজের পরিবারের সদস্যরা অর্থাৎ তার মা এবং বোনেরাও বলছেন। বোনেরাও বলেছেন যে, “সোনম দিদি আমাদের সাথেই রাজকে রাখি বাঁধতেন।”

কঙ্গনা রানাউত সোনম সম্পর্কে এমন কথা বলেছিলেন: এর আগে, এই ভয়াবহ ঘটনায় নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কঙ্গনা রানাউত এটিকে নৃশংস, জঘন্য এবং সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছিলেন। কঙ্গনা রানাউত তার ইনস্টা স্টোরিতে লিখেছিলেন – “এটা কতটা অযৌক্তিক। একজন মহিলা বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে পারে না কারণ সে তার বাবা-মাকে ভয় পায়, কিন্তু সে একজন ভাড়াটে খুনির সাথে ঠান্ডা মাথায় খুনের পরিকল্পনা করতে পারে।”