সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধে ইন্ডিয়ান অয়েল-এর বিশাল অবদান, ৪ গুণ জ্বালানি চাহিদা পূরণ হলো নিমেষে!

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধে ইন্ডিয়ান অয়েল-এর বিশাল অবদান, ৪ গুণ জ্বালানি চাহিদা পূরণ হলো নিমেষে!

ভারতের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী গুরুত্বপূর্ণ ‘অপারেশন সিন্দূর’ বিশ্বজুড়ে প্রভাব ফেলেছে। এই অপারেশনের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদের কোমর ভেঙে দিয়েছে, আর এই কাজে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (IOC) ভারতীয় সেনাকে ব্যাপক সমর্থন জুগিয়েছে। ‘অপারেশন সিন্দূর’-এর সময় ইন্ডিয়ান অয়েল ভারতীয় সেনাকে ৪ গুণ বেশি জ্বালানি সরবরাহ করেছে। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের চিফ টার্মিনাল ম্যানেজার রাকেশ কুমার নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন।

ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের চিফ টার্মিনাল ম্যানেজার রাকেশ কুমার জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিন্দূর’-এর সময় প্রতিরক্ষা খাতের জ্বালানির চাহিদা ৪ গুণ বেড়ে গিয়েছিল। সেই কঠিন সময়ে ইন্ডিয়ান অয়েল এই বর্ধিত চাহিদা পূরণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল। ইন্ডিয়ান অয়েল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে ‘অপারেশন সিন্দূর’-এর সময় ভারতীয় সেনাকে কোনো বাধা ছাড়াই জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করেছে।

শুধু তাই নয়, ভারতীয় নৌবাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী ইন্ডিয়ান অয়েল মাত্র ৩ দিনের নোটিশে পারাদ্বীপ এবং হলদিয়া রিফাইনারিতে তাদের জাহাজ মোতায়েন করে এবং সময়মতো সেনাবাহিনীর প্রয়োজন মেটায়। এটি ইন্ডিয়ান অয়েলের কৌশলগত প্রস্তুতি এবং কার্যকারিতার এক বড় প্রমাণ।

রাকেশ কুমার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সাথে IOC-এর সমন্বয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, “প্রতিরক্ষার সাথে আমাদের খুব ভালো এবং উচ্চ-স্তরের সমন্বয় রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, যেহেতু তারা তাদের কাছ থেকে পণ্য নিচ্ছেন, তাই তাদের চাহিদা পূরণের জন্য তাদের ক্রমাগত যোগাযোগ রাখতে হয়। ইন্ডিয়ান অয়েল নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সাথে প্রতি সপ্তাহে বৈঠক করে। এছাড়াও, ইন্ডিয়ান অয়েল তাদের সরবরাহ বিভাগের সাথেও নিয়মিত বৈঠক করে, যাতে সরবরাহ শৃঙ্খল মসৃণ থাকে।

চিফ টার্মিনাল ম্যানেজার ইন্ডিয়ান অয়েলের স্মার্ট টার্মিনাল সম্পর্কে তথ্য দিয়ে জানান যে, তাদের ক্ষমতা ২৭,০০০ কিলোলিটার। ইন্ডিয়ান অয়েল প্রধানত ৪টি পণ্যের ব্যবসা করে, যার মধ্যে পেট্রোল, ডিজেল, HSD (হাই স্পিড ডিজেল) এবং কম সালফারযুক্ত HFHSD (হাই ফ্ল্যাশ হাই স্পিড ডিজেল) অন্তর্ভুক্ত। তিনি আরও জানান যে, তাদের একটি জরুরি প্রোটোকল এবং পর্যাপ্ত ট্যাঙ্ক ক্ষমতাও রয়েছে। সাধারণত, তাদের সমস্ত পণ্যের জন্য ২৫ দিনের কভারেজ থাকে, যা যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে সরবরাহ নিশ্চিত করে। ‘অপারেশন সিন্দূর’-এ ইন্ডিয়ান অয়েলের এই সহযোগিতা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে সরকারি খাতের কো ম্পা নিগুলোর অবদানকে তুলে ধরে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *