পাকিস্তানের শত্রু দেশ তৈরি করেছে আত্মঘাতী ড্রোনের একটি বিশাল বাহিনী। তারা কামিকাজে ড্রোন এয়ারফোর্স গঠনের পাশাপাশি এতে কিছু হেলিকপ্টারও যুক্ত করেছে। এর ফলে পাকিস্তানের উত্তেজনা বাড়া অনিবার্য। এই ড্রোন বাহিনী করাচি, রাওয়ালপিন্ডি বা ইসলামাবাদ — পাকিস্তানের যেকোনো স্থানে হামলা চালাতে সক্ষম হবে। এই কাজটি করেছে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় থাকা তালেবান। তালেবানের এই পদক্ষেপের কারণে পাকিস্তানকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।

একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, আফগানিস্তান তাদের নতুন বিমানবাহিনী গঠন করেছে। তালেবান ড্রোন এয়ারফোর্স তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। তারা বর্তমানে এই ড্রোন এয়ারফোর্স পরীক্ষা করছে এবং এর জন্য প্রাক্তন ব্রিটিশ এসএএস (SAS) বেস ব্যবহার করছে। তালেবানের এই মারাত্মক ড্রোন বাহিনী যেকোনো শত্রু দেশকে মুহূর্তে ধ্বংস করে দিতে পারে। বর্তমানে এটি পরীক্ষার অধীনে আছে।

রিপোর্ট অনুসারে, তালেবান বড় আকারে ড্রোন তৈরির কাজ শুরু করতে চলেছে। এর জন্য তারা শীঘ্রই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করবে। এতে এমন একজন প্রকৌশলীও অন্তর্ভুক্ত আছেন, যার বিরুদ্ধে ওসামা বিন লাদেনের সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়দার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ড্রোন তৈরির জন্য তালেবান ব্যাপক আকারে নিয়োগ শুরু করবে। এটি পশ্চিমা দেশগুলির নিরাপত্তা সংস্থাগুলির জন্যও বিপদের ঘণ্টা বাজানোর মতো।

যুদ্ধের পদ্ধতিতেও পরিবর্তন এসেছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে যুদ্ধ হয়েছে। এই দুটি দেশ সরাসরি সেনাবাহিনীর ভূমিকা কমানোর চেষ্টা করেছে। ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালিয়ে সম্প্রতি রাশিয়ার অনেক বিমানঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন যুদ্ধে প্রযুক্তির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারতের অপারেশন সিঁদুর-এর সময়ও ড্রোনের ব্যাপক ব্যবহার হয়েছিল।