বুলগেরিয়ান রহস্যবাদী বাবা ভাঙ্গার ২০২৫ সালের ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্বজুড়ে আলোচনার ঝড় তুলেছে। তিনি একটি বৈশ্বিক ক্রীড়া ইভেন্টে, যেমন উইম্বলডন বা F1-এ, ‘নতুন আলো’র মাধ্যমে ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এছাড়া, এশিয়া ও ইউরোপে বিশাল ভূমিকম্প ও সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের সতর্কতা দিয়েছেন। ইউরোপে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ মানবতার পতন বা রাজনৈতিক পরিবর্তন ডেকে আনতে পারে বলেও তিনি আভাস দিয়েছেন। বিশ্ব অর্থনীতির পতন, মুদ্রাস্ফীতি ও চাকরি হারানোর মতো আর্থিক সংকটের পূর্বাভাসও তার ভবিষ্যদ্বাণীতে রয়েছে। এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলি, বিশেষ করে মায়ানমারের সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর, অনেকের মনে উদ্বেগ জাগিয়েছে। তবে, তিনি ল্যাবে জন্মানো অঙ্গ, টেলিপ্যাথি ও নতুন শক্তির উৎস আবিষ্কারের মতো ইতিবাচক অগ্রগতির কথাও বলেছেন।

অনলাইনে এই ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ এটিকে মিডিয়ার হাইপ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন, আবার কেউ নস্ট্রাডামাসের সঙ্গে তুলনা করে গুরুত্ব দিচ্ছেন। লাল কিতাবের জ্যোতিষীরাও ২০২৫ সালে রাজনীতি, প্রযুক্তি ও আধ্যাত্মিকতায় বড় পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিয়েছেন। তারা চিকিৎসা ক্ষেত্রে সাফল্য, যুব নেতৃত্বের উত্থান ও আর্থিক ওঠানামার কথা বলছেন। বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হোক বা না হোক, বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন খোলা মনে থাকতে, কিন্তু অন্ধভাবে বিশ্বাস না করতে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অর্থনৈতিক সংকটের জন্য প্রস্তুতি, স্বাস্থ্য ও নতুন দক্ষতা অর্জনের উপর জোর দেওয়া উচিত। ২০২৫ কি সত্যিই বিশ্বকে বদলে দেবে? সবার নজর এখন ভবিষ্যতের দিকে।