‘মে-ডে কল’ মানে কী? আহমেদাবাদে এটিসি-কে এই বার্তা পাঠিয়ে বিধ্বস্ত হল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান

গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদে বৃহস্পতিবার একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন যাচ্ছিল এবং টেকঅফের পরপরই এটি বিধ্বস্ত হয়।
বিমানটি এটিসি (ATC)-কে ‘মে-ডে’ (MAYDAY) কল করেছিল। ডিজিসিএ (DGCA) তাদের বিবৃতিতে বলেছে যে, এরপর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি এটিসি-র কলের কোনো জবাব দেয়নি। এএনআই-এর প্রতিবেদনে ডিজিসিএ-র উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “বিমানটি এটিসি-কে মে-ডে কল দিয়েছিল, কিন্তু এরপর এটিসি দ্বারা করা কলের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। রানওয়ে ২৩ থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি বিমানবন্দরের সীমার বাইরে মাটিতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।” আসুন, জেনে নিই ‘মে-ডে কল’ কী।
মে-ডে কল কী?
একটি মে-ডে কল হলো একটি জরুরি সংকেত (Emergency Signal)। এটি জীবন বাঁচানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে বিমান এবং সামুদ্রিক জাহাজে এর ব্যবহার হয়। আগুন লাগা বা পুলিশের অভিযানের সময়ও এটি ব্যবহৃত হয়। জরুরি অবস্থায়, ‘মে-ডে মে-ডে মে-ডে’ তিনবার পরপর বলা হয়। এই কল অন্যান্য বার্তা থেকে ভিন্ন হয়। আমেরিকার ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) অনুসারে, এর একটি পূর্বনির্ধারিত বিন্যাস রয়েছে। এই বিন্যাসে মে-ডে কল, সংশ্লিষ্ট স্টেশনের নাম, যে বিমানটি কল করেছে তার কোড, কী ধরনের জরুরি অবস্থা, আবহাওয়া কেমন, পাইলটের কী প্রয়োজন, বর্তমান পরিস্থিতি, উচ্চতা কত, জ্বালানি কতটা আছে এবং যাত্রীর সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে।
মে-ডে কলের উৎপত্তি কীভাবে এবং কখন হয়েছিল?
লন্ডনে ফ্রেডরিক স্ট্যানলি মকফোর্ড নামে একজন সিনিয়র রেডিও অফিসার ছিলেন। ১৯২১ সালে তাকে এমন একটি শব্দ খুঁজে বের করতে বলা হয়েছিল যা বিপদ এবং জরুরি পরিস্থিতি বোঝাতে পারে। এই শব্দটি পাইলট এবং গ্রাউন্ড স্টাফদের কাছে সহজে বোধগম্য হওয়া উচিত ছিল। তাই তিনি ‘মে-ডে’ শব্দটি তৈরি করেন। এটি ফরাসি শব্দ ‘m’aider’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘আমাকে সাহায্য করুন’। এর আগে, এসওএস (SOS) এবং মোর্স কোড (Morse code) এই কাজের জন্য ব্যবহৃত হত। মকফোর্ড ভেবেছিলেন যে পাইলট এবং গ্রাউন্ড স্টাফরা বেশিরভাগই ফরাসি ভাষায় কথা বলেন, তাই তিনি ফরাসি শব্দটি বেছে নিয়েছিলেন।