যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে রেলওয়ে প্রশাসন ২৫টি বিশেষ ট্রেনকে নিয়মিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ৪০টি ট্রেনকে নিয়মিত করা হয়েছে। নিয়মিত হওয়ার ফলে এই ট্রেনগুলির ভাড়া কমবে, যার ফলে যাত্রীরা আর্থিক সুবিধা পাবেন।

এই ট্রেনগুলি শাহজাহানপুর, কানপুর, অযোধ্যা এবং বালামাউ রুটে চলে। উত্তর রেলওয়ে, উত্তর-পূর্ব রেলওয়ে এবং উত্তর মধ্য রেলওয়ে প্রশাসন ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে নতুন সময়সূচী কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে এই পরিকল্পনা শুরু করেছিল।

করোনা মহামারীর সময় থেকে স্পেশাল ট্রেন হিসাবে চলছিলো এই ট্রেনগুলি। এই ট্রেনগুলির ভাড়া সাধারণ ট্রেনের তুলনায় বেশি ছিল। নিয়মিত ট্রেনগুলির নম্বর শূন্যের পরিবর্তে সাধারণ নম্বর দিয়ে শুরু হবে, যার ফলে ভাড়া প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে। জানুয়ারিতে ৪০টি বিশেষ ট্রেনকে নিয়মিত করার পর যাত্রীরা অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছিলেন। এখন তৃতীয় ধাপে আরও ২৫টি ট্রেনকে নিয়মিত করার প্রস্তুতি চলছে, যা ২০২৫ সালের জুলাই মাস থেকে চালু হওয়ার কথা। এর ফলে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার যাত্রী উপকৃত হবেন। রেলওয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এর ফলে যাত্রীদের সুবিধা হবে।

এই ট্রেনগুলি ইতিমধ্যেই নিয়মিত করা হয়েছে

নিয়মিত হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে ঝাঁসি-লখনউ প্যাসেঞ্জার, লখনউ-কাসগঞ্জ প্যাসেঞ্জার, প্রয়াগরাজ সঙ্গম-লখনউ, লখনউ-শাহজাহানপুর, লখনউ-অযোধ্যা মেমু, লখনউ-কানপুর মেমু এবং লখনউ-বালামাউ প্যাসেঞ্জার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই ট্রেনগুলি নিয়মিত হওয়ার ফলে শুধু ভাড়া কমেনি, বরং যাত্রীরা নিয়মিত এবং সুবিধাজনক পরিষেবাও পাচ্ছেন।

রেলওয়ের উদ্দেশ্য কী?

রেলওয়ে প্রশাসনের এই পদক্ষেপ যাত্রীদের জন্য একটি বড় স্বস্তি এনেছে, বিশেষ করে যারা প্রতিদিন এই রুটে যাতায়াত করেন। কম ভাড়া এবং নিয়মিত পরিষেবা যাত্রীদের সময় এবং অর্থ উভয়ই বাঁচাবে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন যে, এই উদ্যোগটি যাত্রীদের চাহিদা এবং সুবিধার কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে যে জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন নিয়মিত ট্রেনগুলি এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।