‘মন্দির থেকে অবিলম্বে ১১৪ মুসলিম কর্মীকে সরান, নইলে…’, কোন হিন্দু মন্দিরে উত্তেজনা? জানুন বিস্তারিত

মহারাষ্ট্রের আহিল্যানগর জেলার বিখ্যাত ধর্মীয় স্থান শ্রী ক্ষেত্র শনি শিংনাপুর মন্দিরে মুসলিম কর্মী নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক বেড়েছে। শনি শিংনাপুর মন্দির ট্রাস্টে কর্মরত ১১৪ জন মুসলিম কর্মীর বিরুদ্ধে হিন্দু সংগঠনগুলি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে।

সংগঠনগুলির দাবি, ট্রাস্ট অবিলম্বে সমস্ত মুসলিম কর্মচারীকে কাজ থেকে সরিয়ে দিক, অন্যথায় ১৪ জুন মন্দিরের বাইরে সকল হিন্দু সমাজের দ্বারা বিরাট মিছিল বের করা হবে।

মুসলিমরা আমিষ খান, মন্দিরে আসেন

এখন হিন্দু সংগঠনগুলি আন্দোলন করছে যে, মুসলিম কর্মীদের কেন হিন্দু মন্দিরের প্রাঙ্গণে বা এর সাথে যুক্ত সংস্থাগুলিতে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে? মুসলিমরা আমিষ খাবার খান এবং মন্দিরে আসেন। এখন সকল হিন্দু সমাজ সতর্ক করে দিয়েছে যে, যদি এই মুসলিম কর্মীদের সরানো না হয়, তাহলে শনিবার শনি শিংনাপুর মন্দিরে একটি বড় আন্দোলন করা হবে। এক মাস আগে মন্দিরের চবুতরার কাজ চলছিল, যেখানে মুসলিম কর্মীরা কাজ করছিলেন। এ নিয়ে একটি বড় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল, যার পর হিন্দু সংগঠনগুলি এই মুসলিম কর্মীদের মন্দিরের প্রাঙ্গণ থেকে সরানোর দাবি করেছিল।

বিতর্কের শুরু

২০২৫ সালের মে মাসে মন্দির চত্বরে কিছু নির্মাণ বা রক্ষণাবেক্ষণের কাজের সময় এই দাবি সামনে আসে যে, মন্দিরে অনেক মুসলিম কর্মী কাজ করছেন, যাদের সংখ্যা ১১৪ থেকে ৩০০ পর্যন্ত জানানো হচ্ছে (বিভিন্ন সূত্রে সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন)। এই তথ্য প্রথম কিছু হিন্দু সংগঠন এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে সামনে আসে। এই সংগঠনগুলি, বিশেষ করে মহারাষ্ট্র মন্দির মহাসংঘ এবং বিজেপি আধ্যাত্মিক মোর্চার নেতারা অভিযোগ করেছেন যে, এই কর্মীদের নিয়োগ হিন্দু অনুভূতিতে আঘাত হানছে এবং মন্দিরের পবিত্রতাকে প্রভাবিত করছে। একটি ঘটনায়, ২৫ সালের ২১ মে মন্দিরের পবিত্র চবুতরায় গ্রিল লাগানোর কাজে মুসলিম কর্মীদের সংখ্যা ছিল, এই বিষয়টি নিয়েই এখন বিতর্ক বেড়েছে। বিজেপি আধ্যাত্মিক মোর্চার প্রধান আচার্য তুষার ভোঁসলে ২০২৫ সালের ১৪ জুন হিন্দু সম্প্রদায় দ্বারা বিশাল মার্চ বের করার ঘোষণা করেছেন, যেখানে এই কর্মীদের অপসারণের দাবি তোলা হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *