ভারতের পিঠে ছুরি মেরেছিল, এবার মিলবে সাজা! পাক, তুর্কিয়ে-এর পর এবার এই দেশকে উচিত শিক্ষা দেবেন পিএম মোদি

অপারেশন সিন্দুর (Operation Sindoor): আজারবাইজান ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তার মূল্য তাদের চোকাতে হতে পারে বলে আজারবাইজানের আশঙ্কা। এই ভয় এবং অস্থিরতা দেশটির একজন বিশেষজ্ঞের মন্তব্যে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
আজারবাইজানের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ফাহাদ মাম্মাদভ বলেছেন যে, ভারত তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ভারত তার কূটনৈতিক প্রভাব বাড়াচ্ছে যাতে পাকিস্তান এবং তার সহযোগী দেশগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করা যায়। ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অধীনে সন্ত্রাসী আস্তানা ধ্বংস হতে দেখে পাকিস্তান অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এবং এই হতাশায় তারা ভারতের বেশ কয়েকটি শহরে সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। এতে তুরস্ক এবং আজারবাইজান প্রকাশ্যে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছে, যার কারণে ভারত পাকিস্তান ছাড়াও এই দুটি দেশের উপরও অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।
আজারবাইজানের বিশেষজ্ঞের মনে ভারতের ভয়
আজারবাইজানের বিশেষজ্ঞ ফাহাদ মাম্মাদভ বলেছেন যে, ভারত পাকিস্তানের বন্ধু দেশগুলোকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে। ফাহাদ মাম্মাদভ বলেছেন, ভারত নিজেকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে উপস্থাপন করে কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তার করছে। তাদের আঞ্চলিক এবং প্রতীকী উভয় ধরনের জয়ের প্রয়োজন। পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা ভারতের এই লক্ষ্যগুলি পূরণ করে, কিন্তু পাকিস্তানের বন্ধুদের দোষারোপ করার লক্ষ্য তারা পূরণ করতে পারবে না। ফাহাদ মাম্মাদভের বিবৃতিতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, তিনি ভারতকে ভয় পাচ্ছেন। তিনি জানেন যে, আজারবাইজানকে তাদের এই কাজের মূল্য চোকাতে হবে কারণ ভারত তাদের ছাড়বে না। এই বিবৃতিগুলো থেকে তাদের অস্থিরতা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
ভারত-আজারবাইজানের মধ্যে বাণিজ্য
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে ফাহাদ মাম্মাদভ বলেছেন যে, ভারত এবং আজারবাইজান প্রতি বছর ১ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে, যার একটি বড় অংশ তেল রপ্তানি। তিনি বলেছেন যে, ভারত যদি এই তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তাহলেও আজারবাইজানের অর্থনীতিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, আমরা আমাদের রপ্তানি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারি, কিন্তু ভারত যদি চুক্তি লঙ্ঘন করে তাহলে তাদের জরিমানা হতে পারে। এছাড়াও, উভয় দেশের মধ্যে ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং শিক্ষা খাতেও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আর্মেনিয়াকে ভারতের সমর্থন
আজারবাইজানকে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ফেলেছে ভারতের আর্মেনিয়াকে উন্নত অস্ত্র সরবরাহ করা। ইন্ডিয়ান অ্যারোস্পেস ডিফেন্স নিউজ (IADN)-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, আর্মেনিয়া ভারত থেকে ৭২০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার চুক্তি করেছে। এই অস্ত্রগুলোর মধ্যে ভারতের আকাশ-১এস (Akash-1S) এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়েও চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির পর আজারবাইজান এবং তুরস্ক উভয়েরই উদ্বেগ বেড়েছে। এর থেকে বোঝা যায় যে, আজারবাইজানে তুরস্কের প্রাক্তন অ্যাটাশে (প্রতিরক্ষা) অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউসেন করোেজ এটিকে বড় বিপদ হিসেবে দেখছেন। তিনি ভারতীয় অস্ত্রের শক্তির কথা বলেছেন।