নতুন প্রজন্মের সঞ্চয় ভাবনা ঝুঁকিবিহীন ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্য

নতুন প্রজন্মের সঞ্চয় ভাবনা ঝুঁকিবিহীন ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্য

নতুন প্রজন্ম কি চাকরি পাওয়ার পরপরই সঞ্চয়ে মন দিচ্ছে? কর্মজীবনের শুরু থেকেই কি তারা অবসরকালীন আর্থিক চিন্তাভাবনা শুরু করছে? পূর্ব ভারতে ২১ থেকে ২৯ বছর বয়সী রোজগেরে ব্যক্তিদের সঞ্চয়-মানসিকতার আভাস পেতে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, সঞ্চয়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে এই প্রজন্ম। চনমনে শেয়ার বাজারকে সঞ্চয়ের হাতিয়ার করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাদের একাংশের মধ্যে। তবে নতুন প্রজন্মের বেশিরভাগেরই মন ঝুঁকে রয়েছে চিরাচরিত ব্যাংক বা ডাকঘরে সঞ্চয়ের দিকেই। তাদের প্রাধান্যের তালিকায় রয়েছে জীবন বিমাও। কারণ প্রথম জীবনের সঞ্চয় নিয়ে তারা অধিক ঝুঁকি চাইছে না।

একটি বেসরকারি জীবনবিমা সংস্থার করা সমীক্ষাটি বলছে, জীবনের প্রথম দিকের সঞ্চয়কে ঝুঁকির লগ্নিতে ঠেলে দিতে ততটা রাজি নন ৩০ বছরের নিচের রোজগেরে ব্যক্তিরা। তাদের ৫৪ শতাংশ জানিয়েছেন, ফিক্সড ডিপোজিট বা রেকারিং ডিপোজিটের মতো চিরাচরিত সঞ্চয় মাধ্যমগুলোকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। ৪৭ শতাংশ জানিয়েছেন, লগ্নির ক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ সোনায়। গত কয়েক বছরে যেভাবে ক্রমাগত উপরের দিকে উঠছে হলুদ ধাতুর দর, তাতে এখানেই টাকা রেখে নিশ্চিন্তে থাকতে চাইছেন তারা। ৪৩ শতাংশ দাবি করেছেন, শেয়ার বাজারে টাকা রাখাকে আবার প্রাধান্য দিতে চান। বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা রাখার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাকেই সিলমোহর দিচ্ছেন তারা। ঝুঁকির হার কমাতে সরাসরি ইকুইটি শেয়ারে সঞ্চয়ের পুরোটা বাজি রাখতে রাজি নন তারা। মোট লগ্নির কিছুটা অংশ ইকুইটিতে রাখার ইচ্ছা তাদের। সমীক্ষায় ৬৩ শতাংশ ব্যক্তি জানিয়েছেন, অবসরের সঞ্চয় হিসেবে তারা জীবনবিমা বেছে নিয়েছেন। সমীক্ষাটি বলছে, বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে জীবনবিমা প্রকল্প কেনার পাশাপাশি টার্ম ইনসিওরেন্সের চাহিদাও বাড়ছে। অর্থাৎ শুধুমাত্র মৃত্যুকালীন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য তুলনামূলক কম প্রিমিয়ামের বিমা ক্রয়ের প্রবণতা বাড়ছে। সমীক্ষায় ১১ শতাংশ ব্যক্তি স্বীকার করেছেন, তারা টার্ম ইনসিওরেন্স পলিসি কিনেছেন। ৪৪ শতাংশের দাবি, তারা এই বিষয়ে আগ্রহী।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *