আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ড্রিমলাইনার বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় যখন সবাই মৃতপ্রায়, তখনই ধ্বংসস্তূপ থেকে হেঁটে বেরিয়ে এলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। অক্ষত অবস্থায় তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন কিছুই হয়নি। তাঁর কনুইয়ের ছাল-চামড়া উঠে গিয়েছিল এবং শরীরে রক্তের দাগও ছিল। বোয়িং ৭৮৭ মডেলের এই বিমানটির লেজ একটি বাড়ির মাথায় ঝুলছিল এবং ডানাগুলো আধপোড়া অবস্থায় ভেঙে পড়েছিল। চারপাশে পোড়া মৃতদেহের গন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছিল, কিন্তু এই ভয়াবহতার মধ্যেও ৪২ বছর বয়সী বিশ্বাস কুমার রমেশ হেঁটে বেরিয়ে আসেন। তার সিট নম্বর ছিল ১১এ।

টেক অফের কিছুক্ষণ পরেই বিমানটি ভেঙে পড়েছিল, তাই এই ঘটনায় কারও বেঁচে থাকার আশা ছিল না। কিন্তু বিশ্বাস কুমার রমেশ সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। অলৌকিকভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে তিনি এখন আহমেদাবাদের আসরবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তার চোখ, বুক এবং পায়ে গুরুতর চোট লেগেছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে ব্রিটেনের এই নাগরিক জানান, ‘টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকট শব্দ কানে আসে। কিছু বোঝার আগেই আমাদের বিমান ভেঙে পড়ে। চোখ খুলে দেখি, এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে রক্তাক্ত-দগ্ধ দেহ। এরপরই আমি দৌড়াতে শুরু করি। পরে একজন আমাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’ তিনি তার ভাই অজয় কুমার রমেশকে খুঁজে না পেয়ে কাতরভাবে আবেদন জানান।