মৃত্যুর আগে শেষ সেলফি: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় শেষ হয়ে গেল ডঃ প্রতীক যোশীর পুরো পরিবার!

মৃত্যুর আগে শেষ সেলফি: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় শেষ হয়ে গেল ডঃ প্রতীক যোশীর পুরো পরিবার!

গুজরাটের আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনায় রাজস্থানের বাঁশওয়ারা জেলার একই পরিবারের পাঁচজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী, তাদের দুই যমজ সন্তান এবং এক ছেলেও অন্তর্ভুক্ত। বিমান দুর্ঘটনার ঠিক আগে পুরো পরিবার মিলে একটি সেলফি তুলেছিল, যা তাদের জীবনের শেষ স্মৃতি হয়ে রইল। এই ঘটনায় পুরো বাঁশওয়ারা জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI-171 টেকঅফের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। এই একই বিমানে ভ্রমণ করছিলেন বাঁশওয়ারার বাসিন্দা প্রতীক যোশী, যিনি লন্ডনে পেশায় একজন ডাক্তার ছিলেন। তিনি তার স্ত্রী কোমি ব্যাস, যমজ মেয়ে মিরায়া যোশী ও প্রদ্যুত যোশী এবং ছেলে নকুল যোশীকে নিয়ে ভ্রমণ করছিলেন। প্লেন টেকঅফ করার আগে তারা একটি সেলফিও তুলেছিলেন, যা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই সকলের মৃত্যু হয়। পরিবারটি লন্ডন যাচ্ছিল, কিন্তু ভাগ্য হয়তো অন্য কিছু চেয়েছিল।

আনন্দ থেকে শোক: নতুন দুলহান খুশবু থেকে যোশী পরিবার, সকলের স্বপ্ন শেষ

এই দুর্ঘটনার খবর বাঁশওয়ারায় যোশী পরিবারের বাড়িতে পৌঁছানোর সাথে সাথেই সেখানে কান্নার রোল পড়ে যায়। পুরো এলাকায় নেমে আসে নিস্তব্ধতা। প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা শোকাহত পরিবেশে বাড়িতে ভিড় করছেন। পরিজনদের কান্না থামছে না। ঘটনার খবর পেয়ে এসপি হর্ষবর্ধন আগরওয়াল, জেলা কালেক্টর ডঃ ইন্দ্রজিৎ সিং এবং ডিএসপি গোপীচাঁদ মীনা নিহতদের বাড়িতে পৌঁছান। পরিবারের সকল সদস্য আহমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। যদিও বাড়িতে কোমি ব্যাসের বাবা অনিল ব্যাসের ভাগ্নের সাথে কর্মকর্তারা দেখা করেছেন। তথ্য অনুযায়ী, প্রতীক যোশী তার পরিবারের সাথে লন্ডনে থাকতেন এবং সেখানে ডাক্তার ছিলেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *