মস্কো: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের মধ্যেও উভয় দেশ মানবিক সহযোগিতার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বুধবার রাশিয়া পূর্ব ফ্রন্টে যুদ্ধে নিহত ১,২১৬ জন ইউক্রেনীয় সৈন্যের মরদেহ ফেরত দিয়েছে, যার বিনিময়ে তারা ২৭টি মরদেহ পেয়েছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই তথ্য জানিয়ে লিখেছেন, “ইস্তাম্বুল চুক্তির অধীনে মৃত সৈন্যদের মরদেহ ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।” ২ জুন ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ইউক্রেন-রাশিয়া আলোচনার দ্বিতীয় দফায় রুশ প্রতিনিধি মেদিনস্কি ইউক্রেনকে শর্তহীনভাবে ৬,০০০ মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে তিনি ইউক্রেনের কাছে রুশ সৈন্যদের মরদেহ ফেরত দেওয়ার অনুরোধও করেন।

যুদ্ধবন্দীদের দুটি দলের অদলবদল

এই বৈঠকে উভয় দেশ ইস্তাম্বুল চুক্তির অধীনে ২৫ বছরের কম বয়সী যুদ্ধবন্দীদের দুটি দলের অদলবদলও করেছে। রুশ সরকারি রেডিও ‘ভেস্তি এফএম’ (Vesti FM) অনুসারে, মেদিনস্কি জানিয়েছেন যে ১২ জুন গুরুতর আহত যুদ্ধবন্দীদের অদলবদলের প্রস্তুতি চলছে, যাদের জরুরিভাবে হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন।

হামলায় শত শত মানুষের প্রাণহানি

রাশিয়া ইউক্রেনের উপর ক্রমাগত মারাত্মক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এই হামলাগুলিতে শত শত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই কার্যকলাপের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, এখন প্রতিদিন রাশিয়ার পক্ষ থেকে নতুন বর্বর হামলা হচ্ছে, এবং প্রায় প্রতিটি হামলা একটি বেদনাদায়ক গল্প রেখে যায়।

অন্ধকারে ড্রোন শনাক্ত করা কঠিন

রাশিয়া প্রায়শই রাতে ইউক্রেনের উপর হামলা চালায়, যা সকাল পর্যন্ত চলতে থাকে। এমনটা করা হয় কারণ অন্ধকারে ড্রোন শনাক্ত করা কঠিন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২,০০০-এরও বেশি ইউক্রেনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও রাশিয়া দাবি করে যে, তারা শুধুমাত্র সামরিক লক্ষ্যবস্তুতেই হামলা চালায়।