গুজরাটের আহমেদাবাদে ঘটা ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় রাজস্থানের ১২ জন আরোহী ছিলেন। বিমানটিতে থাকা একই পরিবারের পাঁচজন বাঁশওয়াড়ার বাসিন্দা ছিলেন। অন্যদিকে, মার্বেল ব্যবসায়ী দম্পতির ছেলে-মেয়ে সহ পাঁচজন উদয়পুরের, একজন বাল্লোতরার এবং একজন বিকানেরের বাসিন্দা ছিলেন।

বিমান দুর্ঘটনায় সকলের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা নিহতদের পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন।

বাঁশওয়াড়ার একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বাঁশওয়াড়ার রাতীতালাই কলোনিতে বসবাসকারী ডক্টর জেপি জোশীর ছেলে প্রতীক, পুত্রবধূ ডক্টর কওমি এবং তাদের তিন সন্তান মিরায়া, নকুল এবং প্রদ্যুত লন্ডন যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় পাঁচজনেরই মৃত্যু হয়েছে।

উদয়পুরের মার্বেল ব্যবসায়ী দম্পতির ছেলে-মেয়ে সহ চারজনের মৃত্যু

উদয়পুরের মাভলিতে বসবাসকারী নারায়ণ মেনরিয়ার পুত্র প্রকাশ মেনরিয়া (৪৮) এবং নারায়ণ লালের পুত্র বর্দি চাঁদ (৫৪) উভয়ই পেশায় শেফ ছিলেন এবং একই ফ্লাইটে ভ্রমণ করছিলেন। এছাড়াও উদয়পুরের সাহেলি নগরের বাসিন্দা মার্বেল ব্যবসায়ী সঞ্জীব মোদীর ছেলে শুভ মোদী (২৫) এবং মেয়ে শগুন মোদী (২২)ও এই একই ফ্লাইটে ভ্রমণ করছিলেন। ভাই-বোন দুজনেই লন্ডন ঘুরতে যাচ্ছিলেন। দুজনেই এমবিএ করেছিলেন এবং তাদের বাবার ব্যবসা সামলাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় সকলের মৃত্যু হয়েছে।

বাল্লোতরার খুশবু-র মৃত্যু, জানুয়ারিতেই বিয়ে হয়েছিল

বাল্লোতরার বাসিন্দা মাদন সিং রাজপুরোহিতের মেয়ে খুশবু রাজপুরোহিতও এই ফ্লাইটে ছিলেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে খুশবু-র বিয়ে যোধপুরের খরাবেড়া লুনি নিবাসী মনফুল সিং-এর সাথে হয়েছিল। বুধবার গ্রাম থেকে বাবা মাদন সিং এবং খুশবু-র খুড়তুতো ভাই তাকে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে ছেড়ে দিতে এসেছিলেন। ফিরে আসার সময় তারা দুর্ঘটনার খবর পান।

প্রাক্তন বিধায়কের ব্যবসায়ী নাতির মৃত্যু

এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত প্লেনে বিকানেরের শ্রীডুঙ্গারগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক কিশনরাম নাইয়ের নাতি অভিনব পরিহার, শিব পরিহারের পুত্রও ভ্রমণ করছিলেন। অভিনব লন্ডনে ব্যবসা করতেন। দুর্ঘটনায় তারও মৃত্যু হয়েছে।

পড়াশোনার জন্য লন্ডনগামী পায়েলের মৃত্যু

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার শিকার উদয়পুরের গোগুন্দার বাসিন্দা পায়েল খাটিকের মৃত্যু হয়েছে। পায়েল পড়াশোনার জন্য ভর্তির উদ্দেশ্যে লন্ডন যাচ্ছিলেন। তিনি তার পরিবারের সাথে গুজরাটের হিম্মত নগরে থাকতেন। গোগুন্দায় পায়েলের দাদি এখনও এই খবর জানেন না। পায়েল খাটিকের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গোগুন্দার বিধায়ক প্রতাপ লাল গামেতি, দেহত জেলা সভাপতি পুষ্কর তেলি দুর্ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বললেন, শোক প্রকাশ করলেন

দুর্ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা শুভ এবং শগুনের পরিবারের সদস্য ছাড়াও দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী শর্মা দুঃখ প্রকাশ করে পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিয়েছেন এবং যেকোনো ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে প্রশাসন এবং সরকার তাদের পাশে আছে।