আমি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামিয়েছি, আবারও ক্রেডিট নিতে মরিয়া ট্রাম্প, কাশ্মীর প্রসঙ্গেও মন্তব্য!

আমি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামিয়েছি, আবারও ক্রেডিট নিতে মরিয়া ট্রাম্প, কাশ্মীর প্রসঙ্গেও মন্তব্য!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা কমানো নিয়ে বড় দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন যে, ‘অপারেশন সিন্দূর’-এর পর যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে থাকা দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি করাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও, কাশ্মীরের দীর্ঘদিনের উত্তেজনা নিরসনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।

হোয়াইট হাউসে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন যে, “আমরা ভারত এবং পাকিস্তান উভয়কেই একত্রিত করতে যাচ্ছি।” তিনি আরও যোগ করেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে, এটি শেষ করার জন্য আমি যা কিছু করতে পারি।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমানোর তার পূর্বের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, তিনি ফোন করেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি করিয়েছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছি।”

ফোন কলের মাধ্যমে উত্তেজনা কমানোর দাবি

ট্রাম্প আরও বলেন যে, ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে হামলা করার পালা ছিল। “তারা পারমাণবিক হামলা করার কথা ভাবছিল,” ট্রাম্প দাবি করেন। “এই সময়ে আমি উভয় দেশের নেতাদের ফোন করেছিলাম, তাদের সাথে কথা বললাম এবং বললাম যে, যদি আপনারা যুদ্ধ করেন বা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করেন, তাহলে আমেরিকার সাথে ব্যবসা করতে পারবেন না।” ট্রাম্প দাবি করেন যে, উভয় দেশই তার কথা বুঝতে পেরে পিছিয়ে আসে। তিনি বলেন, “আমি শুধু ফোন এবং ব্যবসা দিয়ে এই যুদ্ধ থামিয়েছি। কেউ মারা যায়নি, এটা একটা বড় ব্যাপার।” তিনি আরও বলেন, “এর কৃতিত্ব আমার এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রাপ্য।”

এই বিষয়ে ভারত সরকারের অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট ছিল যে, কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং এতে কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, ২২শে এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। যার পর ৭ই মে ভারত পাকিস্তান ও পিওজেকের বিভিন্ন স্থানে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের এই নতুন দাবি দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *