বোনের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের আকাঙ্ক্ষায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠল ভাই, প্রেমিককে খুন করে আইসক্রিম ফ্রিজারে লুকালো মৃতদেহ

পশ্চিম ত্রিপুরার এসপি কিরণ কুমার এই মামলার রহস্য উন্মোচন করে জানিয়েছেন যে, নিহত যুবকটি ২০ বছর বয়সী এক তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে ছিল। অন্যদিকে, ওই তরুণীর এক খুড়তুতো ভাইও তাকে ভালোবাসত এবং তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইত। সম্প্রতি প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল এবং তারা একে অপরের সাথে কথা বলছিল না। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে অভিযুক্ত খুনের ষড়যন্ত্র করে।
পুলিশের মতে, অভিযুক্ত ওই তরুণীর সুযোগ নিতে চেয়েছিল, যিনি সম্প্রতি তার বাবাকে হারিয়েছিলেন। অভিযুক্ত জানত যে, যতক্ষণ না তরুণীর প্রেমিক জীবিত থাকবে, ততক্ষণ সে তার উদ্দেশ্য সফল করতে পারবে না। তাই সে প্রেমিকের হত্যার ষড়যন্ত্র করে। অভিযুক্ত প্রায়শই তরুণীর বাড়িতে (বাঙ্কুমারি, পূর্ব আগরতলা থানা এলাকা) যেত।
অভিযুক্ত যুবক, যিনি বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস করেছেন, গত ৮ জুন তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে (দক্ষিণ ইন্দিরা নগর, পশ্চিম ত্রিপুরা) তরুণীর প্রেমিককে ডেকেছিল। সেখানে উপস্থিত আরও তিনজনের সাথে মিলে যুবকটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর মৃতদেহ একটি ট্রলি ব্যাগে ভরে দেওয়া হয়। পরের দিন অভিযুক্ত তার বাবা-মাকে ফোন করে আগরতলায় ডাকে এবং তাদের ওই ট্রলি ব্যাগটি গণ্ডাছড়া নিয়ে যেতে বলে। এসপি জানান, ‘অভিযুক্তের বাবা-মা গাড়ি করে আগরতলায় আসেন এবং ট্রলি ব্যাগটি গণ্ডাছড়ায় নিয়ে যান। সেখানে তারা তাদের দোকানের আইসক্রিম ফ্রিজারে মৃতদেহটি লুকিয়ে রাখেন।’
অভিযুক্তের বাবা-মা সহ ছয়জন গ্রেপ্তার
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। প্রথমে অভিযুক্ত খুড়তুতো ভাইটিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসপি জানান, ‘তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বুধবার আইসক্রিম ফ্রিজার থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তের বাবা-মা সহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরবর্তী কার্যক্রম চলছে।’