বাবা ভাঙার ৪টি ভবিষ্যদ্বাণী: ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত কী কী সত্যি হয়েছে এবং কী কী হওয়া বাকি?

বাবা ভাঙা তার মৃত্যুর দুই দশক পরেও তার করা ভবিষ্যদ্বাণীগুলির জন্য আলোচনার কেন্দ্রে থাকেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে একটি ভয়াবহ ঝড়ের কারণে দৃষ্টিশক্তি হারানো বাবা ভাঙা বুলগেরিয়ার বাসিন্দা ছিলেন। তাকে ‘বলকানদের নস্ট্রাডামাস’ নামেও পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৯৬ সালে বাবা ভাঙা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও আজও লাখ লাখ মানুষ তার ভবিষ্যদ্বাণী দেখে বিস্মিত হন। আজ আমরা আবারও তার করা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি।
২০২৫ সালে আবারও তার ভবিষ্যদ্বাণীগুলিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে। আসুন জেনে নিই এই বছর সম্পর্কে তিনি কী কী বলেছিলেন এবং আজকের পৃথিবীতে কী ঘটছে।
১. ভূমিকম্প ও সুনামি বাবা ভাঙা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে তিনি ২০২৫ সালে জাপানের কাছাকাছি সমুদ্রে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং সুনামি আসতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তার এই ভবিষ্যদ্বাণীর দিকে তাকালে, এটি কিছুটা হলেও সত্যি প্রমাণিত হয়েছে, কারণ জাপান এবং তার আশেপাশের এলাকায় ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়েছে। তবে সৌভাগ্যক্রমে সুনামি আসেনি, কিন্তু বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।
২. বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ভাঙা এই বছর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দারও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে একটি বড় অর্থনৈতিক পতন পুরো বিশ্বকে প্রভাবিত করবে। এই ভবিষ্যদ্বাণীর বাস্তবতার দিকে তাকালে, এই বছর বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং সংস্থাগুলিতে ব্যাপক ছাঁটাই এর প্রমাণ দিচ্ছে। টেক সংস্থাগুলিতে ব্যাপক ছাঁটাই হয়েছে এবং মন্দার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও, বেশ কয়েকটি দেশের খারাপ অর্থনীতিও বাবা ভাঙার কথাকে সমর্থন করছে।
৩. এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ এলিয়েনদের সম্পর্কে বাবা ভাঙা বলেছিলেন যে মানুষ কোনো বুদ্ধিমান এলিয়েনের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এর বাস্তবতার দিকে তাকালে, এই ভবিষ্যদ্বাণীটি সত্যি প্রমাণিত হয়নি, তবে নাসা সহ অনেক বড় স্পেস এজেন্সি এলিয়েনদের সন্ধানে কাজ করছে। এর পাশাপাশি, মহাকাশে কিছু রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া গেছে যা এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগের অনেকটাই কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে।
৪. অদ্ভুত অদ্ভুত রোগ এছাড়াও, বাবা ভাঙা নতুন এবং অদ্ভুত রোগের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এর বাস্তবতার দিকে তাকালে, দক্ষিণ আমেরিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় কিছু নতুন রোগের ছোট ছোট প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। যদিও সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে আরও সতর্ক হয়েছেন। এছাড়াও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সিডিসি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এবং বায়োইঞ্জিনিয়ারড ভাইরাস নিয়ে চিন্তিত।