রবীন্দ্রনাথের পৈতৃক ভিটেয় হামলা, মমতার কড়া চিঠি মোদীকে

বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক কাছারিবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা এক চিঠিতে তিনি এই বর্বরোচিত কাণ্ডের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। মমতা উল্লেখ করেছেন, এই ভিটে কেবল একটি স্থাপনা নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অমূল্য প্রতীক। এখানে কবিগুরুর বহু অমর সৃষ্টি রচিত হয়েছে, যা উপমহাদেশের সৃজনশীলতার ইতিহাসে এক অনন্য স্থান ধরে রাখে। এই হামলাকে তিনি বাঙালি জাতির গর্ব ও অনুভূতির উপর আঘাত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় শুধু ঐতিহাসিক সম্পত্তির ক্ষতিই হয়নি, বরং বাঙালি সমাজের হৃদয়ে গভীর আঘাত লেগেছে। মমতা স্মরণ করিয়েছেন, স্বদেশী আন্দোলনের সময় রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে কণ্ঠ তুলেছিলেন, তাই এই হামলা গোটা বাঙালি সমাজের জন্য যন্ত্রণাদায়ক। তিনি জোর দিয়েছেন যে, কঠোর আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে সহায়ক হবে। শাহজাদপুরের এই কাছারিবাড়ি, যা ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্যে নির্মিত এবং ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষিত, এখন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে, ক্ষতি হওয়ার আগেই স্থানীয় কিছু ব্যক্তির জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে, যা তদন্তের দাবি রাখে।