২১ জুলাই: তৃণমূলের শহীদ দিবস কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) ২১ জুলাইকে ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে। ১৯৯৩ সালের এই দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কংগ্রেসের একটি আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে ১৩ জন কর্মী নিহত হন। এই ঘটনা তৃণমূলের জন্য ঐতিহাসিক ও আবেগপ্রবণ গুরুত্ব বহন করে। দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, এই দিনের সমাবেশের পোস্টারে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে, কারণ তিনি ১৯৯৩-এর আন্দোলনের মূল নেত্রী ছিলেন। এই সিদ্ধান্ত দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও মমতার নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যের প্রতীক। এমনকি দিল্লিতে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন চললেও, কোনো তৃণমূল সাংসদ এই দিনে দিল্লিতে থাকবেন না, বরং কলকাতায় সমাবেশে অংশ নেবেন।
১৯৯৩ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটার আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক করার দাবিতে রাইটার্স ভবনে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে এই আন্দোলন গড়ে ওঠে। মায়ো রোডে পুলিশের কঠোর ব্যবস্থা ও গুলিচালনার ফলে ১৩ জন প্রাণ হারান। এই ঘটনা তৃণমূলের রাজনৈতিক সংগ্রামের একটি টার্নিং পয়েন্ট। আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই দিনটি তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে ঐক্য ও উৎসাহ জাগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পোস্টার বিতর্ক নিয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রশ্নের পর স্পষ্ট করা হয়েছে, শুধু মমতার ছবিই এই সমাবেশে প্রাধান্য পাবে।