বিমান বিপর্যয়ে হৃদয়বিদারক ক্ষতি, একমাত্র বেঁচে যাওয়া, ৩১ মৃতদেহ শনাক্ত

১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার বিমান (AI171) উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়ে ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু-সহ মোট ২৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মাত্র একজন বেঁচে গেছেন—ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বশ কুমার রমেশ, যিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে ৩১টি মৃতদেহের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ১২টি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূজলর মৃতদেহ শনাক্তকরণ এখনও চলছে। নিহতদের মধ্যে বিজে মেডিকেল কলেজের চারজন ছাত্র ও তাদের আত্মীয়রাও রয়েছেন। লরেন্স ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান, যিনি বাবার মৃত্যুর পর ছুটিতে আহমেদাবাদে এসেছিলেন, এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। তার মা রবীণা বলেন, “আমরা কখনও ভাবিনি তিনি এভাবে চলে যাবেন।”
দুর্ঘটনার পর বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদপ্তর (ডিজিসিএ) এয়ার ইন্ডিয়ার ৩৩টি ড্রিমলাইনার বিমানের মধ্যে নয়টির নিরাপত্তা পরিদর্শন সম্পন্ন করেছে, বাকিগুলোর পরিদর্শন চলছে। বিমান বিশেষজ্ঞ গুরমুখ সিং বাওয়া একমাত্র বেঁচে যাওয়াকে “ট্র্যাজেডির মধ্যে অলৌকিক ঘটনা” বলে বর্ণনা করেছেন। জয়াবেন গজ্জারের আত্মীয় নেহা গজ্জার বলেন, “আমাদের পরিবার ভেঙে পড়েছে। সরকারের সহায়তায় দেহাবশেষ হস্তান্তর করা হয়েছে।” এফএআইএমএর সহ-সভাপতি ধাওয়াল গামেতি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২৭০টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, এবং ডিএনএ পরীক্ষা অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনা ভারতীয় বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।