ভারতের ৫ বিধ্বংসী ড্রোন: চীন ও আমেরিকাও সমীহ করে, শত্রুদের ঘুম কেড়েছে কোন প্রযুক্তি?

ভারতের ৫ বিধ্বংসী ড্রোন: চীন ও আমেরিকাও সমীহ করে, শত্রুদের ঘুম কেড়েছে কোন প্রযুক্তি?

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা বিশ্বকে আবারও ড্রোন যুদ্ধের ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি ইসরায়েলের হামলার জবাবে ইরান শতাধিক ড্রোন ব্যবহার করে পাল্টা আঘাত হেনেছে। বর্তমান সময়ে, ড্রোনগুলো প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই যুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই মানববিহীন আকাশযান (UAV) এখন কেবল নজরদারির জন্যই নয়, সরাসরি আক্রমণের জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারতও এই উন্নত প্রযুক্তিতে পিছিয়ে নেই। পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা চলাকালীন ভারত তার আধুনিক ড্রোন ব্যবহার করে শত্রুর বেশ কয়েকটি UAV আকাশে ধ্বংস করে দিয়েছে।

ভারতের কাছে বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী ড্রোন রয়েছে যা নজরদারি এবং আক্রমণ উভয় উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে হারোপ ড্রোন অন্যতম, যা ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ তৈরি করেছে এবং এটি শত্রুর রাডার ব্যবস্থাকে শনাক্ত করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিস্ফোরিত হতে পারে। হেরন মার্ক ২ ড্রোনটি উঁচু স্থান থেকে শত্রুর গতিবিধির উপর নজর রাখতে এবং প্রয়োজনে আক্রমণ করতে সক্ষম, এর উড়ান সীমা ৩০০০ কিলোমিটার। ভারতের নিজস্ব তৈরি কামিকাজে ড্রোন একটি আত্মঘাতী ড্রোন যা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে নিজেকেও ধ্বংস করে ফেলে। হার্মিস ৯০০ ড্রোনটি উচ্চ-রেজোলিউশন ছবি তুলতে এবং লক্ষ্যবস্তু সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পারদর্শী। সবশেষে, মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি MQ-9 রিপার বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক ড্রোন হিসাবে বিবেচিত হয়, যা গুপ্তচরবৃত্তি, নজরদারি এবং আক্রমণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ড্রোনগুলো ভারতের সামরিক শক্তিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোকেও চিন্তায় ফেলেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *