পাকিস্তানি গাধার দাম লাখে, চীনের এই রহস্য কী?

পাকিস্তানি গাধার দাম আকাশছোঁয়া! মাত্র ২-৩ বছর আগে যে গাধার দাম ছিল ২০,০০০ টাকা, তা এখন পৌঁছে গেছে ৩ লক্ষ টাকায়। এই অবিশ্বাস্য দাম বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে চীনের বিপুল চাহিদা। চীনের ঐতিহ্যবাহী ওষুধ শিল্পে গাধার চামড়া থেকে তৈরি এজিয়াও জেলটিনের ব্যবহার বাড়ছে। এই জেলটিন ক্লান্তি দূর করা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, রক্তাল্পতা এবং টিউমারের মতো রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ফলে পাকিস্তানের গাধার চাহিদা চীনে তুঙ্গে। পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে এমনকি এজিয়াও উৎপাদনের জন্য বড় কসাইখানাও গড়ে উঠেছে, যেখানে গাধা জবাই থেকে চামড়া প্রক্রিয়াকরণের কাজ হয়। এই ব্যবসা পাকিস্তানের অর্থনীতিতেও নতুন দিগন্ত খুলেছে।
ভারতে যেখানে গাধা মূলত ইটভাটা বা মাল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়, সেখানে পাকিস্তানে এটি এখন চীনা ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল। চীনের বাজারে এজিয়াও-এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে গাধার চামড়ার চাহিদা বেড়েছে, যা পাকিস্তানের গাধার দামকে অভূতপূর্ব উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তবে, এই বাণিজ্য নিয়ে পরিবেশবিদ ও পশু অধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করছে। গাধার সংখ্যা দ্রুত কমে যাওয়ায় পাকিস্তানের গ্রামীণ অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়তে পারে। চীনের এই চাহিদা কীভাবে ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের অর্থনীতি ও পরিবেশকে প্রভাবিত করবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছেন।