ইসরায়েলের ইরান আক্রমণ: রবিবার ইরান ইসরায়েলের উপর আবারও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আসছে, জেরুজালেমে সাইরেন বাজছে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, তেল আভিভ এবং জেরুজালেমের আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র উড়ছে। এর মধ্যে অনেক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের পাল্টা হামলা এবং হাইফায় আগুন
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েল ইরানের উপর পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে। এরপর দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলি অনেক লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করেছে। হাইফা শহরে একটি বড় বিস্ফোরণ এবং আগুন দেখা গেছে, যা ইরানি হামলার প্রভাব বলে মনে করা হচ্ছে। আরটি ইন্টারন্যাশনাল-এর একটি পোস্ট অনুসারে, এখনও পর্যন্ত চারজন আহত হয়েছেন। এই তথ্য ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পাওয়া গেছে, তবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

ইরানেও বিস্ফোরণ, তেল ডিপোতে আগুন
তেহরান থেকে আসা ছবিতে দেখা গেছে যে, রাতের আকাশে একটি বিশাল বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই আগুন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানের তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে চালানো হামলার কারণে লেগেছে। এর ফলে ইরানের অর্থনীতি এবং সরকারি কার্যক্রমে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই সাথে বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও ঝুঁকি বেড়েছে।

IDF-এর সবচেয়ে দীর্ঘপাল্লার হামলা
একটি ভিডিওতে দেখানো হয়েছে যে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ইরানের ২০টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এর আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানিয়েছিল যে, তারা ইরানের মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ইরানি বিমানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এই হামলা ইসরায়েল থেকে প্রায় ২,৩০০ কিলোমিটার দূরে চালানো হয়েছে। IDF জানিয়েছে যে, এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘপাল্লার হামলা, যা ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর অধীনে করা হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মতে, এই হামলাগুলির উদ্দেশ্য ইরানের পারমাণবিক এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করা, সরকার পরিবর্তন করা তাদের লক্ষ্য নয়।